বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালেও রোনাল্ডোকে ছাড়াই পর্তুগালের প্রথম একাদশ। তা-হলে কী হল ? এই তো পর্তুগাল শিবির থেকে দাবি করা হয়েছিল। কিন্তু হলটা কই। বরং আগের ম্য়াচের একাদশের উপরেই মরক্কো বধে আস্থা দেখালেন পর্তুগিজ কোচ ফার্নান্দো স্যান্টোস। সুইৎজারল্যান্ড ম্য়াচের পরেই পর্তুগিজ কোচ দাবি করেছিলেন, তিনি একটা দৃষ্টান্ত রাখার চেষ্টা করেছেন। আসলে সেটা তাঁর দাবি ছিল না। বরং ছিল মনের কথা। কারণ, স্যান্টোসও বুঝে গিয়েছেন বিশ্বকাপ জিততে হলে, তাঁকে নতুন প্রজন্মের পর্তুগালকে মাঠে নামাতেই হবে। তাই গত ম্য়াচে রামোশকে দিয়েই তিনি সাফল্য পেয়েছেন। মরক্কোর বিরুদ্ধেও বছর একুশের এই ফুটবলারের উপরেই ভরসা করেছেন। তাহলে কী পর্তুগাল দলে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো এখন ব্রাত্য় ? এই ব্যাপারে একটি শব্দও খরচ করেনি পর্তুগিজ টিম ম্য়ানেজমেন্ট। স্রেফ দাবি করা হয়েছে, এটা কৌশল।
সুইৎজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে রোনাল্ডোকে প্রথম একাদশ থেকে বাদ দিয়ে প্রথমে সাহস দেখিয়েছিলেন স্যান্টোস। বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তাঁর দলে কেউ অপরিহার্য নয়। তাই রোনাল্ডোকে নিয়ে ওঠাতেও কান দেননি তিনি। তার চেয়ে বড় কথা, রোনাল্ডোর বদলি হিসাবে মাঠে নেমে প্রথম ম্য়াচে কামাল করেছেন রামোশ। কাতার বিশ্বকাপের প্রথম হ্য়াটট্রিক এই পর্তুগিজ যুবকের। ফলে সুইস ম্য়াচেই মিলে গিয়েছিল স্যান্টোসের ছক। তাই মরক্কো ম্য়াচেও আরেকবার ফাটকা খেলতে চান তিনি। আর সেই কারণেই এই ম্য়াচেও রিজার্ভেই রাখলেন রোনাল্ডোকে।
এদিকে, ম্য়ানচেস্টারের পর তাঁর নিজের দেশ পর্তুগাল। সেখানেও ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছেন সিআর সেভেন। নেইমার নেই। মেসি সেমিফাইনালে। তিনি কী করবেন ? আগ্রহ বাড়ছে সবার মনেই। সবকিছু নির্ভর করছে শনিবারের মরক্কো ম্য়াচের উপরে।