প্রথমার্ধ শেষ হয়েছিল গোলে। দ্বিতীয়ার্ধ শুরুও হল গোলে। ইকুয়েডরের পর সেনেগালের বিরুদ্ধেও হার আয়োজক দেশ কাতারের। ৭৮ মিনিটে পাল্টা গোল দিল কাতার। গোলের পরই শব্দব্রহ্মে কেঁপে উঠল স্টেডিয়াম। কিন্তু লাভের লাভ কিছু হল না। ৮০ মিনিটের মাথায় তৃতীয় গোল করে জয় নিশ্চিত করে সেনেগাল। পরপর দুম্যাচে হেরে বিশ্বকাপ বিদায় কার্যত নিশ্চিত কাতারের।
শুক্রবার দোহার আল থুমামা স্টেডিয়ামে আয়োজক দেশের মুখোমুখি হয় সেনেগাল। বিশ্বকাপের আগেই ছিটকে গিয়েছে দলের সেরা ফুটবলার সাদিও মানে। কিন্তু তাঁকে ছাড়াও লড়ার জন্য যে প্রস্তুত সেনেগাল, সেটাই এদিন দেখা গেল। দুর্বল কাতারের বিরুদ্ধে চেনা ছন্দে খেলল সেনেগাল। তবে লড়াই ছেড়ে দেয়নি কাতারও। বারবার দুই উইংকে ব্যবহার করে সেনেগালের ডিফেন্স ভাঙার চেষ্টা করে কাতার। ৪০ মিনিট পর্যন্ত সেনেগালকে রুখে দিলেও আর পারেনি। ৪১ মিনিটে সেনেগালের হয়ে গোল করেন বুলায়ে দিয়া। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আক্রমণ শুরু করে সেনেগাল। ৪৮ মিনিটে ২-০ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে যায় তাঁরা। গোল করেন ফামারা ধিয়েধুর।
৭৮ মিনিটে কাতারের হয়ে গোল ফেরান মহম্মদ মুনতারি। কিন্তু ৬ মিনিটের মাথায় গোল করে ব্যবধান বাড়ায় সেনেগাল। গোল করেন বাম্বা দিয়েং। এই ম্যাচ হারার পরই বিশ্বকাপের রাস্তা কার্যত শেষ হয়ে গেল আয়োজক দেশ কাতারের।