প্রথম ৪৫ মিনিটে ৫৭৩টি পাস। প্রতি ১০ মিনিট অন্তর একটি করে গোল। প্রতিপক্ষকে নীরব দর্শক করে রাখার স্পর্ধা। লুইস এনরিকের হাত ধরে কাতারে ফিরল তিকিতাকা। যার নিট ফল বিশ্বকাপের প্রথম ম্য়াচে মধ্য আমেরিকার দেশ কোস্টা রিকাকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে অভিযান শুরু করল ২০১০ সালের বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন স্পেন। জোড়া গোল করে এই ম্য়াচের নায়ক পাঁচ বছর আগে ভারতে যুব বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলে যাওয়া ফেরান তোরেস। মঙ্গলবার এক প্রাক্তন হেরেছে। বুধবার আর এক প্রাক্তনের পতন হয়েছে। কিন্তু স্পেন সেই রাস্তায় হাঁটল না।
কিক-অফের পর প্রথম ১০ মিনিট প্রতিপক্ষ কোস্টা রিকাকে কার্যত নীরব দর্শকে পরিণত করেছিলেন বুসকেত, গাভি, ড্যানি ওমলোরা। একসময় মনে হচ্ছিল দোহার মাঠে স্পেন ম্য়াচ নয়, যেন নিজেদের মধ্য়েই অনুশীলন করছে। ১১ মিনিটে কোস্টা রিকার ডিফেন্স ভেঙে দেন ড্যানি ওমলো। ২১ মিনিটে দ্বিতীয় গোল মার্কো অ্য়াসানসিওর। ৩১ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ফেরান তোরেসের প্রথম গোল। স্পেন তিন শূন্য়। এরপর আবার শুরু হয় নিজেদের মধ্য়ে পাস খেলার রূপকথা।
এই ম্য়াচের আগে স্প্যানিশ কোচ লুইস এনরিকে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, তাঁর স্পেন অন্যরকম। ঠিক তাঁর স্পেন অন্যরকম। সময় না ফোরানো পর্যন্ত গোল হবে। এই পণ নিয়ে এদিন মাঠে নেমেছিলেন জোডি আলভারা। ৫৪ মিনিটে চার শূন্য তোরেসের একার চেষ্টাতেই। ৭৪, ৯০ এবং ৯২ মিনিটে স্পেনের গোলদাতা গাভি, সোলের এবং এই ম্য়াচে বদলি মোরাতা। এনরিকের স্পেন ফিরিয়ে আনল ১৪ বছর আগের সেই ইউরোর স্মৃতি। একঝাঁক নতুন ফুটবলার নিয়ে সেদিন শুরু করেছিলেন লুইস অ্য়ারাগোনাসের স্পেন। বিশ্ব ফুটবলের অভিযানে যোগ হয়েছিল একটা নতুন শব্দ তিকিতাকা। সেই স্পেন ছিল চ্যাম্পিয়ন। কাতারে প্রথম ম্য়াচের পর অনেকেই বলছেন এই স্পেনও কাপ জয়ের দাবি রাখতে পারে।
প্রথম ম্য়াচেই সাত গোল। নব্বই মিনিটে ১০৪৩টি পাস খেলার রেকর্ড। বিশ্বকাপের মঞ্চে সর্বোচ্চ গোলে জয়ের রেকর্ড। সাবধান জার্মানি, হয়তো সর্তক থাকবে জাপানও। কারণ, লুইস এনরিকের স্পেন জানান দিচ্ছে কাতারে তিকিতাকাই চলবে।