বাবার হাত ধরে দেশ ছাড়া। ইউরোপের এদেশ-ওদেশ ঘুরতে ঘুরতে সুইৎজারল্যান্ডে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করা। বাবা চাকরি করতেন একটা ওষুধের কোম্পানিতে। আর ভাই-বোনদের সঙ্গে বড় হওয়ার মাঝে ফুটবল খেলতে শেখা। এই বছরই সুইৎজারল্য়ান্ড দলে ডাক পেয়েছিলেন বিশ্বকাপ খেলার জন্য। আর প্রথম ম্য়াচেই গোল। ম্য়াচের ৪৮ মিনিটে এমবোলোর গোলে ক্যামেরুনকে হারাল সুইৎজারল্য়ান্ড। আর যে দেশে জন্ম সেই দেশের বিরুদ্ধে গোল করলেন ম্য়াচের নায়ক সদ্য কুড়ি বছরে পা দেওয়া এমবোলে। কাতার বিশ্বকাপে সুইৎজারল্যান্ড বনাম ক্যামারুণ ম্য়াচে এটাই একমাত্র গল্প।
বাকি ম্য়াচ কেমন হল ? বুধবার রাতে যাঁরা স্পেনের ম্য়াচ দেখেছেন, তাঁদের কাছে ম্য়াচ ঘুমিয়ে পড়ার ভাল রসদ হতে পারে। তাও সুইসরা গোল করার অনেক চেষ্টা করেছেন। বিশেষ করে সাকিরি যতক্ষণ মাঠে ছিলেন ক্যামারুন ডিফেন্সকে ব্যস্ত রেখেছিলেন। কিন্তু এ কোন ক্যামারুন ? ভাবতে অবাক লাগে এই দলটা ১৯৯০ সালে প্রথম ম্য়াচে আর্জেন্টিনাকে হারিয়েছিল। ভালদেরামার কলম্বিয়াকে হারিয়ে দিয়েছিল। এই দেশটা স্যামুয়েল এটোর মতো ফুটবলার তৈরি করেছিল। যিনি এদিনও মাঠে ছিলেন। কিন্তু এই প্রজন্মের ক্য়ামেরুন যেন কলকাতা ময়দানের ভ্রাতৃসংঘ।
আরও পড়ুন: গোলপোস্টেই আটকে গেল উরুগুয়ে, দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে ড্র সুয়ারেজদের
অগ্রায়ণ মাসের দুপুরে মিঠে রোদ মেখে যাঁরা এই ম্য়াচ দেখতে বসেছিলেন, তাঁরা সবাই হতাশ। খুশি একজন-ই, তিনি এমবোলো। ৪৮ মিনিটে নিজের জন্মস্থানের গোলে বল ঠেলে ম্য়াচের নায়ক বছর কুড়ির বর্তমানে সুইৎজারল্যান্ডের বাসিন্দা।