একটা ক্রশ, একটাই ফিনিশ। এটাই তো বিশ্বকাপ। আর সেটাই সেনেগাল ম্য়াচে দেখাল নেদারল্য়ান্ডস। ম্য়াচের চুরাশি মিনিটে অরেঞ্জদের তিন পয়েন্ট এল গাকপোর হেড থেকে। বাঁ দিক থেকে ভাসানো সেন্টারে ফিনিশ করলেন এই ডাচ। এই ম্য়াচকে নিয়ে বিশ্ব ফুটবলের আগ্রহ ছিল। আর ম্য়াচের ৯৯ মিনিটে নেদারল্যান্ডসের জয় আর শক্ত করল ক্লাসানের গোল। বিশেষ করে লুই ফ্য়ান গলের নেদারল্যান্ডসকে দেখার জন্য সবাই মুখিয়ে ছিল। উল্টোদিকে সাদিও মানকে ছাড়া সেনেগাল কী করে, সেটাও ছিল এই ম্য়াচে দেখার।
চার-দুই-তিন-এক। এই ফরমেশনে এদিন মাঠে নেমেছিল সেনেগাল। দিয়াকে সামনে রেখে নেদারল্যান্ডসের উপর ক্রমাগত চাপ তৈরি করা হবে এটাই ছিল ছক। প্রথম ১০ মিনিটে সেই ছকে সফলও হয়েছিল সেনেগাল। কিন্তু এরপরেই ডি জং, ব্লিন্ড এবং জেসনরা ধীরে ধীরে ম্য়াচে ফেরেন। শুরু হয় কাতারের মাঠে অরেঞ্জ ঝড়। প্রথম ৪৫ মিনিটে বেশ কয়েকটি সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন ডাচরা। কিন্তু বারবার সেনেগাল দূর্গে ধাক্কা খেয়েছে সেই চেষ্টা।
দ্বিতীয়ার্ধে শুরু থেকে বেশ দাপিয়েই শুরু করেছিল সেনেগাল। চাপ বাড়তে থাকে নেদারল্য়ান্ডস ডিফেন্সের উপর। বিশেষ করে ডানদিক এবং বাঁদিক থেকে শুরু হয় সেনেগালের হানা। কিন্তু পাল্টা আক্রমণে এসে চুরাশি মিনিটে ডি জংয়ের একটা ক্রশ। আর তাতেই শেষ হয়ে গেল সেনেগাল। গাকপোর গোলে ম্য়াচ জিতল নেদারল্য়ান্ডস।