আমেরিকা ছুটল। আর বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠল নেদারল্যান্ডস। নকআউটের প্রথম ম্য়াচেই শনিবার ডাচরা জিতল তিন-এক গোলে। শুধু জিতল না, টানা চার ম্য়াচ অপরাজিত থাকার পর লুইস ভ্য়ান গলের বার্তা, যাঁরা তাঁদের উপর এখনও কোনও বাজি ধরেননি, তাঁরা এবার তাঁদের উপর বাজি ধরতে পারেন। কারণ, দোহায় এই অরেঞ্জ আর আগের মতো নয়। গতি বনাম টোটাল ফুটবল। এটাই ছিল নেদারল্যান্ডস বনাম আমেরিকা ম্য়াচের দেখার বিষয়। ১০, ৪৬ এবং ৮১ মিনিটে আমেরিকাকে তিন গোল চাপিয়ে দিয়ে, ডাচরা দেখালেন বড় ম্য়াচে বড়রাই খেলেন।
মার্কিনদের চোর গতিতেই মাঠে নামার আগে ভয় পেয়েছিলেন ডাচ কোচ। তাঁকে স্বস্তি দেয় ম্য়াচের ১০ মিনিটে ডিপের গোল। ৪৬ মিনিটে মার্কিন ডিফেন্সকে বোকা বানিয়ে নেদারল্যান্ডসকে ম্য়াচে ২-০ গোলে এগিয়ে দেন ব্লাইন্ড। ২-০ গোলের এগিয়ে থাকার পুঁজি নিয়ে মাঠ ছাড়েন ডাচরা। তারমধ্যে অবশ্য তরুণ তুর্কি মার্কিনরা বারবার গিয়েছেন ডাচদের বক্সে। জমাট ডিফেন্সে ধাক্কা খেয়েছে তাঁদের বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার স্বপ্ন। তাও ৭৬ মিনিটে সেই ডিফেন্স ভেঙে ফেলেন আমেরিকার হাজি রাইট। ব্যবধানও কমিয়ে ফেলেন তিনি। কিন্তু পাঁচ মিনিটেই তাঁদের যাবতীয় স্বপ্নে জল ঢেলে দেন ড্যানজেল ডেমফ্রিজ। প্যাক-আপ আমেরিকা। কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডস।
চার বছর আগে রাশিয়ার বিশ্বকাপ বাড়ি থেকে বসেই দেখেছিলেন ডাচরা। কারণ, নেদারল্যান্ডস যোগত্যাই অর্জন করতে পারেনি। চার বছর পর কাতারে এসে তাঁরা বুঝিয়ে দিচ্ছেন, সেই ক্ষত কতটা তাঁদের মনে। দু বারের রানার্স, আট বছর আগের তৃতীয় নেদারল্যান্ডস। জোহান ক্রুয়েফের দেশের একটি ছেলের উপরেই এখন সবার নজর। তিনি ক্লোডি গাকপো। লুইস ভ্য়ান গলের এই ডাচ দলের প্রাণ ভ্রমরা। আমেরিকার বিরুদ্ধে গোল পাননি। কিন্তু গোল করিয়েছেন। কাদের সামনে পড়বে নেদারল্যান্ড ? প্রতিপক্ষ হবে আর্জেন্টিনা বা অস্ট্রেলিয়া। আর আমেরিকা। আপাতত গুডবাই কাতার। চার বছর পর আপনারা সবাই আসবেন। কারণ, ২০২৬ সালে মেগা বিশ্বকাপের আয়োজক আমেরিকা।