সচিন তেন্ডুলকর কট অ্যান্ড বোল্ড গ্লেন ম্যাকগ্রা। এ বিশ বছর আগের কথা। তখন মুঠো ফোন এলেও, তাতে খেলার দেখার সুযোগ ছিল না। ভারতের আর্থ-সামজিক প্রেক্ষাপটে একটি বাড়িতে একটি টেলিভিশন। তার সামনে হুমড়ি খেয়ে পড়া ভিড়। রাস্তায়, দোকানে, পথে-ঘাটে ২৩ মার্চ সবাই তাকিয়ে ছিল ওয়ান্ডারাসের দিকে। না ওই দিন কোনও চমক হয়নি।
কারণ, ম্যাচের পাঁচ বলেই মাথায় বিশ্বকাপ ফাইনাল জিতে নিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। সচিন কট অ্যান্ড বোল্ড গ্লেন ম্যাকগ্রা। স্কোর কার্ডে লেখা ছিল পাঁচ বলে চার। সচিন ফিরতেই টেলিভিশন বন্ধ করে দিয়েছিলেন ব্রায়ান লারা। টেলিভিশন বন্ধ করে দিয়েছিল এ দেশও।
টার্গের ৩৬০। জাহির খানে এক ওভারে ১৮ বল। অজি অধিনায়ক রিকি পন্টিংয়ের অপরাজিত ১৪০। তারপরেও ভারতের বাজি ছিল একটাই নাম সচিন তেন্ডুলকর। তবে ওই মঞ্চ নতুন নায়কের সন্ধান দিয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেটকে। তাঁর নাম বীরেন্দ্র সেওয়াগ। যাঁর ৮২ রানের সৌজন্যে ৩৯.২ ওভার পর্যন্ত টিঁকে ছিল টিম ইন্ডিয়ার ইনিংস। সেদিন ২৩৯ রানে শেষ হয়েছিল ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ভঙ্গ হয়েছিল এক বাঙালির স্বপ্ন। তিনি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।