তিরিশ বছর পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ফের বিশ্বকাপে ফাইনালে মুখোমুখি পাকিস্তান-ইংল্যান্ড। ১৯৯২ সালে এই মেলবোর্নেই কাপ জিতেছিলেন ইমরান খান। রবিবার সেই মেলবোর্নেই কি বাবারের হাতে কাপ উঠবে? বৃহস্পতিবার টি২০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনাকে ভারতকে কার্যত উড়িয়ে দিল ইংল্যান্ড। ১০ উইকেটে হারতে হত টিম ইন্ডিয়াকে।
বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মাদের মন্থর ব্যাটিং, তার উপর বোলারদের শোচনীয় ব্যর্থতা- ইংল্যান্ডের সামনে কার্যত দাঁড়াতেই পারল না টিম ইন্ডিয়া। পাকিস্তানের সঙ্গে ফাইনালের স্বপ্ন কার্যত চুরমার করে দিলেন ইংল্যান্ডের দুই ওপেনিং ব্যাটার। অ্যালেক্স হেলস এবং জস বাটলারের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের সামনে কার্যত খুঁজেই পাওয়া গেল না মহম্মদ শামি, ভুবনেশ্বর কুমারদের। ব্যাট হাতে কিছুটা লড়লেন হার্দিক পাণ্ডিয়া। রান পেলেন বিরাট কোহলিও। কিন্তু লজ্জার হার এড়াতে সে সব যথেষ্ট ছিল না।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ভারতের শুরুটাই ছিল মন্থর৷ তাড়াতাড়ি আউট হয়ে যান কে এল রাহুল। এরপর হাল ধরেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলি। রেহিত এদিনের ব্যাটিং মোটেই টি২০ ফরম্যাটের উপযোগী ছিলনা। ২৮ বলে ২৭ করেন তিনি৷ বিরাট করেন ৪০ বলে ৫০। এদিন রান পাননি সূর্যকুমার যাদব৷ তবে ৩৩ বলে ৬৩ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে ভারতের স্কোর সম্মানজনক জায়গায় নিয়ে যান হার্দিক।
২০ ওণারে ১৬৯ রানের টার্গেট নিয়ে খেলতে নেমে শুরুতেই ঝড় তোলেন দুই ইংরেজ ব্যাটার। টিম ইন্ডিয়ার বোলিংকে কার্যত পাড়া ক্রিকেটের পর্যায়ে নামিয়ে আনেন তাঁরা। ৪৭ বলে অপরাজিত ৮৬ রানের ইনিংস খেলেন হেলস। বাটলারের অবদান ৪৯ বলে অপরাজিত ৮০।
ফাইনালে পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড। ১৯৯২ সালে ইংল্যান্ডকে হারিয়েই ওয়ান ডে বিশ্বকাপ জিতেছিল ইমরান খানের পাকিস্তান। ৩০ বছর পর আবার বিশ্বসেরা হওয়ার যুদ্ধে মুখোমুখি দুই দেশ। তবে আসমুদ্রহিমাচল ভারতের জন্য আপাতত কেবল হতাশাই বরাদ্দ।