ইংল্যান্ড ম্যাচের আগে জাতীয় সঙ্গীতের সময় চুপ করেছিলেন ইরান ফুটবলাররা। মূলত হিজাব নিয়ে তাঁদের দেশে ক্রমাগত বাড়তে থাকা আন্দোলনকেই কার্যত সমর্থন করেছিলেন বিশ্বকাপের মঞ্চ থেকে। কিন্তু ওয়েলস ম্যাচের দিলে ইরানি ফুটবলারদের 'বিপ্লব' কার্যত শেষ হয়ে গেল। সরকারের হুঁশিয়ারির কাছে সুর নরম করলেন কার্লোস কুইরেজের দল। দোহার মাঠে এদিন জাতীয় সঙ্গীতের সময় গান গাইতে দেখা গেল ইরানি ফুটবলারদের। আগের দিন তাঁরা যতটাই সমর্থন পেয়েছিলেন, এদিন ঠিক তততাই সমালোচিত হলেন নেট দুনিয়ায়। অনেকে অভিযোগ করল গ্রেফতারি এড়াতেই সরকারের কাছে নতিস্বীকার করলেন জাতীয় দলের ফুটবলাররা। যদিও এই ঘটনা নিয়ে সরকারি ভাবে কিছুই জানায়নি ইরান ফুটবল দল।
এই বছরে সেপ্টেম্বর মাসেই হিজাবের প্রতিবাদ করায় থানার মধ্যে পুড়িয়ে মারা হয়েছিল মাহাশা আমিনিকে। তার জেরে বিক্ষোভের আগুন জ্বলেছিল তেহেরানে। গত কয়েকদিন আগে দেশের অন্য়তম বিখ্য়াত শেফ মেহরশাদ শাহিদিকে পিটিয়ে খুন অভিযোগ ওঠে। ফলে প্রতিবাদ দ্বিগুণ হয়েছিল। যে প্রতিবাদের ছবি দেখা গিয়েছিল বিশ্বকাপের মাঠেও। হিজাব বিরোধী আন্দোলনকে কার্যত সমর্থন করেছিলেন সে দেশের খেলোয়াড়রা। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে মাঠে নেমে প্রথম ম্যাচে জাতীয় সঙ্গীত গান গাননি তাঁরা।
কিন্তু খেলোয়াড়দের সুর নরম হলেও প্রতিবাদ জানিয়েছেন মাঠে থাকা ইরানের সমর্থকরা। ইরানের জাতীয় সঙ্গীত চলার সময় তীব্র ব্যাঙ্গাত্মক শিসে ভরিয়ে দেন তাঁরা। নারীদের স্বাধীনতার দাবিতে পোস্টারও দেখা যায় মাঠে। চোখে জল দেখা যায় মহিলা সমর্থকদের। ভেঙে পড়েন একাধিক পুরুষ সমর্থকও।