তীরে এসে তরি ডুবল ভারতের। ইংল্যান্ডের কাছে ১০ উইকেটে হেরে সেমিফাইনাল থেকেই বিদায় নিল ভারত। ১৬ বছরের অপেক্ষা কার্যত এক লহমায় মুছে দিল বৃহস্পতিবারের এই ম্যাচ। গোটা টুনার্মেন্টে ভাল খেললেও সেমিফাইনালে দলকে জেতাতে ব্যর্থ সূর্যকুমার। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ১০টি বল খেলে তাঁর সংগ্রহ মাত্র ১৪। টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই ভারতের টপ অর্ডার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটাররা। তাঁদের সেই আশঙ্কাই সত্যি করেই ফের ব্যর্থ রাহুল-রোহিতের ওপেনিং জুটি। তবে সমালোচকদের তীরে সবচেয়ে বেশি বিদ্ধ হচ্ছেন সূর্যকুমার। আদিল রশিদের বলে যেভাবে একস্ট্রা কভারে ক্যাচ তুলে আউট হন তিনি, তাতেই প্রশ্ন উঠেছে সেমিফাইনালের মতো এত গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তাঁর দায়িত্বজ্ঞান নিয়েও। কেউ কেউ বলছেন, শটের বৈচিত্র্য ভাল, তবে অতিরিক্ত বৈচিত্র্যেই ডুবলেন সূর্য, ডোবালেন দেশকে।
এমনিতেই সূর্যকুমারের হাতে একাধিক শট রয়েছে। গোটা মাঠ জুড়ে খেলার ক্ষমতা রয়েছে এই তরুণ প্রতিভাবান ভারতীয় ব্যাটারের। কিন্তু ক্রিকেটের ব্যকরণ ভুলে সেমিফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে কেন এত বৈচিত্র্যের সমাহার। প্রশ্ন তুলছেন বিভিন্ন প্রাক্তনী। বৃহস্পতিবার ব্যাটিংয়ের শুরুতেই বেন স্টোকসের প্রায় কাঁধ সমান বলে পুল করেন সূর্য। টাইমিং ভাল না হলেও কবজির জোরে মাঠ পেরিয়ে যায় বল। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, তাতেই অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী হয়ে পড়েন তিনি। যার ফলশ্রুতিতে রশিদের আপাতনিরীহ বলে বৈচিত্র্য দেখাতে গিয়ে ধরা পড়েন এক্সট্রা কভারে।
আরও পড়ুন- Rohit Sharma Reacts: চোখের জল মুছে দলের হারের জন্য সতীর্থদের উপর দায় চাপালেন রোহিত
বৃহস্পতিবারের ম্যাচ থেকেই স্পষ্ট, সূর্যকে নিয়ে নির্দিষ্ট ছকেই মাঠে নামে ইংল্যান্ড। ফাইন লেগের পাশাপাশি স্কোয়্যার লেগের ফিল্ডারকেও কিছুটা ভেতরের দিকে রাখে ব্রিটিশরা। সূর্যকে ‘ল্যাপ স্কুপ’ মারা থেকে আটকাতে ব্লু-প্রিন্ট তৈরি করেন বাটলাররা। ফলে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে আর সেই শট খেলেননি সূর্য। ফলে তাঁর ওপর চাপ বাড়ে। সামনের দিকে শট খেলতে যান তিনি। সূর্যকে সেই সুযোগ দিয়ে ফাঁদ পাতে ইংল্যান্ড। মিড অনের ফিল্ডারকে সামনে এনে মিড অফকে পিছিয়ে যেতে নির্দেশ দেন ইংরেজ অধিনায়ক। অফ স্পিনার আদিল রশিদের জন্য একস্ট্রা কভারে ফিল্ডার যোগ করা হয়। আর সেই ফাঁদেই ধরা পড়ে যান এই ভারতীয় ব্যাটার। চালিয়ে খেলতে গিয়ে ব্যাটে-বলে সংযোগ না হওয়ায় একস্ট্রা কভারে ক্যাচ তুলে মাঠ ছাড়েন সূর্য।