অঙ্ক বলছে পঞ্চাশ-পঞ্চাশ। তবে, আবেগ বলছে, মেসি! সংক্ষেপে মহাগুরুত্বপূর্ণ বিশ্বকাপ ফাইনালের (Qatar world cup 2022) আগে বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি ফুটবলপ্রেমীর হৃদয়ে এই একটাই সুর। আর্জেন্টিনার হয়ে জীবনের শেষ বিশ্বকাপ ম্যাচ খেলতে নামছেন তর্কহীনভাবে গত কুড়ি বছরে বিশ্বফুটবলের শ্রেষ্ঠ মহাতারকা। ১৯৯০ সালে ক্যামেরুনের বিরুদ্ধে হেরে গিয়ে ফাইনালে পৌঁছেছিল দিয়েগো মারাদোনার (Diego Maradona) আর্জেন্টিনা।
চলতি বিশ্বকাপেও (Qatar world cup 2022) অন্তত ফাইনাল পর্যন্ত যেন তারই পুনরাবৃত্তি। টানা ৩৬ ম্যাচ জিতে, ৩ বছর ধরে অপরাজিত থেকে বিশ্বকাপ খেলতে এসে প্রথম ম্যাচেই সৌদি আরবের কাছে হেরে যান স্কালোনির ছেলেরা। সকলেই যখন ধরে নিয়েছেন, এই আর্জেন্টিনা বেশিদূর এগোতে পারবে না, সেই সময়ই ঝলকে উঠল ওই বিখ্যাত বাঁ-পা! জ্বলে উঠলেন লিওনেল আন্দ্রেস মেসি! তারপর যত ম্যাচ এগিয়েছে আর্জেন্টিনা ক্রমেই অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে বাকি সব প্রতিপক্ষের কাছে। সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে মেসির পাস ইতিমধ্যেই ফুটবল ইতিহাসবিদদের চর্চায়।
আরও পড়ুন: আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগেই ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স? রহস্যটা কী?
মারাদোনার সঙ্গে মেসির তুলনা বছরের পর বছর ধরে হয়ে এসেছে। তবু, আম আর্জেন্টিনিয়দের (Argentina vs France) কাছে দিয়েগো যেন ছিলেন বহু মাইল এগিয়ে। তাঁর অনেকগুলি কারণের মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ কারণটি হল, তিনি দেশকে প্রায় একার চেষ্টায় বিশ্বকাপ এনে দিয়েছিলেন। অন্যদিকে, লিওনেল মেসি, বিশ্বফুটবলের অবিসংবাদিত এক নম্বর হয়েও দেশকে চ্যাম্পিয়ন করতে পারেননি।
শুধু তাই নয়, অভিযোগ ছিল, দেশের জাতীয় সঙ্গীতটাও পর্যন্ত জানেন না মেসি (Lionel Messi)। ২০১৪ সালে ফাইনালে ওঠার পরেও তীরে এসে তরী ডুবেছিল। জার্মানির কাছে অভূতপূর্ব স্বপ্নভঙ্গের পর স্তিমিত হয়ে গিয়েছিলেন মেসি (Lionel Messi) স্বয়ং। এই বিশ্বকাপে ফের সেই সুযোগ। আবার। ইতিমধ্যেই, আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপের গোলসংখ্যায় মারাদোনাকে পিছনে ফেলে দিয়েছেন মেসি (Lionel Messi)। শিখে গিয়েছেন দেশের জাতীয় সঙ্গীতও। কাপ জয়ের পর তা গলা ছেড়ে গেয়ে বহু সমালোচনায় জবাব কি দিতে পারবেন বিশ্বফুটবলের আদরের 'লিও' এবং তাঁর দল?
উত্তর দেবে রবিবারের রাত।