চলছে প্যারিস অলিম্পিক। অলিম্পিকে দুরন্ত পারফরম্যান্স করে সমাপ্তি অনুষ্ঠানে দেশের পতাকাবাহক মনু ভাকর। দেশকে এবার অলিম্পিকে দুটি পদক এনে দিয়েছেন। যা স্বাধীনতার পর ইতিহাস। পদক জিতেছেন সরবজ্যোত সিং, স্বপ্নিল কুসলেরাও। পদক এনে দেওয়ার সুযোগ ভারতীয় হকি টিম, নীরজ চোপড়া-সহ আরও অনেক অ্যাথলিটদের। অলিম্পিকের মতো এই উচ্চমানের প্রতিযোগিতা চলাকালীন কী খান অ্যাথলিটরা। ভারতীয় অ্যাথলিটদের কিচেনে কী কী রান্না হয়।
অলিম্পিক চলাকালীন অ্যাথলিটদের খাওয়া-দাওয়া মেপে করতে হয়। এটাই তো সবাই জানেন। কিন্তু শোনা যায়, ২০০৮ বেজিং অলিম্পিকে জামাইকান অ্যাথলিট উসেন বোল্ট নাকি ১০ দিনে এক হাজার ম্যাকডোনাল্ডস চিকেন নাগেটস খেয়েছিলেন। পছন্দের খাবার থেকে পুষ্টি আসলে, তাই খাওয়া উচিত! নাকি কোনও নিয়ম আছে! ডায়েটিশিয়ান ও স্পোর্টস নিউট্রিশানিস্ট মনিকা বিয়ারডেন তাঁর ব্লগে অলিম্পিয়ানদের খাদ্যভ্যাস নিয়ে বেশ কিছু তথ্য শেয়ার করেছেন।
কার্বোহাইড্রেড থেকেই অ্যাথলিটরা এনার্জি পান। এই ধরনের টুর্নামেন্টে এনার্জির প্রয়োজনও অনেক বেশি। এনার্জি মাসল গ্লাইকোজেন বাড়ায়। অনুশীলন ও প্রতিযোগিতার সময় এমন কার্বোহাইড্রেট খাওয়া উচিত, যা তাড়াতাড়ি হজম হয়ে যায়। টুর্নামেন্ট চলাকালীন খাবারে ফল, সবজি রাখা উচিত। সবজির মধ্যে সবথেকে ভাল বিনস ও শস্যজাতীয় সবজি। মাসল ঠিক রাখার জন্য প্রোটিনও গুরুত্বপূর্ণ। তাই প্রোটিন জাতীয় খাবারও রাখতে হবে। ঠিকঠাক ক্যালোরি মেপে খাবার খেলে, তবেই সেরা পারফরম্যান্স বেরিয়ে আসবে। তবে প্রসেসড খাবার এড়িয়ে চলাই ভাল। শুধু অ্যাথলিট নয়, সবার ক্ষেত্রেই এই নিয়ম প্রযোজ্য।
অলিম্পিক বা যে কোনও টুর্নামেন্ট চলাকালীন কী কী খাবার রাখা উচিত। মনিকা তাঁর ব্লগে একটি খাবারের উপকরণও উল্লেখ করেছেন।
জল
দুগ্ধজাত ও অদুগ্ধজাত মিষ্টি
জল মেশানো ফলের রস
লেবুজল
চা ও কফি
নুন ও গোলমরিচ গুড়ো
শাক-সবজি
গোটা মশলা
ভিনিগার
সালসা
সর্ষে
ক্যাচ-আপ
তবে রোজ একজন অ্যাথলিটকে কাঁচা সবজি, রান্না করা সবজি, সবজির সুপ, তাজা ফল খেতেই হবে। দিনের মোট খাওয়ার ৫০ শতাংশ সবজিই রাখতে হবে। ২৫ শতাংশ খাবারে দুগ্ধজাত দ্রব্য, মাছ, মাংস, ডিম, বাদাম রাখতে হবে।
তবে প্রত্যেক অ্যাথলিট বা মানুষের শরীরের গঠন আলাদা হয়। একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষ বা অ্যাথলিটদের খাদ্যের দৈনিক অনুপাত মাপতে পারেন ডায়েটিশিয়ান বা স্পোর্টস নিউট্রিশানিস্টরা। তাঁদের পরামর্শ মেনেই চলা উচিত।