অলিম্পিক সব সময়ই প্রভাবশালী দেশগুলির মর্যাদার লড়াই। একজন অ্যাথলিট বিশ্ব মঞ্চে কতটা সফল, তার প্রভাব পড়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও কূটনীতিতে। এমনই হয়ে আসছে গত কয়েক দশক ধরে। বিষয়টিকে সবথেকে গুরুত্ব দিয়ে দেখে দুটি দেশ। আমেরিকা ও চিন। এবার অলিম্পিকেও পদক সংখ্যার দিকে তাকালে, সেই একই ছবি ধরা পড়ে।
এবার প্যারিস অলিম্পিকে সর্বাধিক পদক জয়ের নজিরে এক নম্বরে আমেরিকা। আবার সোনা জয়ের নজিরে শীর্ষে চিন। প্যারিস অলিম্পিকের শেষ লগ্নে মাত্র একটি সোনা বেশি জিতে ফেলে এগিয়ে তাঁরা। কিন্তু মোট পদকের হিসেবে অনেকটাই পিছিয়ে চিন। তবে এই সংখ্যাই চূড়ান্ত নয়। রবিবার বেশ কিছু ইভেন্ট আছে। যা থেকে পদক সংখ্যা বাড়াতে পারে দুই দেশই। তবে সর্বাধিক পদকে আমেরিকাকে এবার টেক্কা দেওয়া সম্ভব নয় চিনের। সোনার পদকে এগিয়ে থাকাই লক্ষ্য তাঁদের।
এখনও পর্যন্ত ১২২টি পদক জিতে ফেলেছেন আমেরিকা। যার মধ্যে ৩৮টি সোনা, ৪২টি রুপো ও ৪২টি ব্রোঞ্জ। চিনের মোট পদক সংখ্যা ৯০। ৩৯টি সোনা, ২৭টি রুপো ও ২৪টি ব্রোঞ্জ তাঁদের। আর এই দুই দেশের পর তৃতীয় স্থানে গ্রেট ব্রিটেন। তাঁদের পদকসংখ্যা চিনের থেকে ২৭টি কম। মোট পদক ৬৩। ১৪টি সোনা, ২২টি রুপো ও ২৭টি ব্রোঞ্জ। এরপরই ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, ইতালি, নেদারল্যান্ড, জার্মানি, দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশগুলি রয়েছে।
টোকিও অলিম্পিকেও চিনকে টেক্কা দিয়েছিল আমেরিকা। আমেরিকান অ্যাথলিটরা ঘরে এনেছিল ১১৩টি পদক। যেখানে চিন জিতছিল ৮৯টি। তিন নম্বরে ছিল জাপান। ২০১৬ রিও অলিম্পিকে ১২১টি পদক জিতে শীর্ষে ছিল আমেরিকা। দুই নম্বরেও থাকতে পারেনি চিন। দুইয়ে শেষ করেছিল গ্রেট ব্রিটেন। ৭০টি পদক নিয়ে তিনে ছিল চিন। ৫৬ পদক নিয়ে চারে ছিল রাশিয়া। লন্ডন অলিম্পিকেও পদক তালিকায় শীর্ষে আমেরিকা, দুইয়ে চিন। ২০০৮ বেজিং অলিম্পিকে, ঘরের মাঠেও পদক সংখ্যায় আমেরিকাকে টেক্কা দিতে পারেনি চিন। তবে সেবার প্রথম পদক জয়ের সেঞ্চুরি করেছিল তারা। ৪৮টি সোনা জিতেছিলেন চিনা অ্যাথলিটরা। যা ছিল গোটা টুর্নামেন্টে সর্বাধিক।