অলিম্পিকের একই ইভেন্টে পাঁচ বার সোনার মেডেল জয়! এমন অসম্ভব কৃতিত্ব কারোর আছে নাকি? মঙ্গলবার এই বেনজির কৃতিত্বের অধিকারী হয়েছেন এক কিংবদন্তি অ্যাথলিট। কিউবার মিজেন লোপেজ ১৩০ কেজির গ্রেকো রোমান কুস্তিতে পঞ্চম সোনা জিতেছেন প্যারিস অলিম্পিকে। ৪১ বছরের মিজেনের এই অনন্য বিশ্ব রেকর্ডের সাক্ষী থাকল প্যারিস।
অলিম্পিক তো নামেই গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ। তাই প্রতি চার বছর অন্তর অলিম্পিকে এমন অনেক ঘটনা ঘটে। আর গোটা দুনিয়া আবারও বিশ্বাস করে, অলিম্পিকের অভিধানে 'অসম্ভব' শব্দটাই নেই।
জীবনের ছ'নম্বর অলিম্পিকে চিলির ইয়াসমানি আকোস্টাকে হারিয়ে মিজেন নিজের জুতো জোড়া খুলে রাখেন, এবার অন্য কেউ পা গলাক। হ্যাঁ ইতিহাস রচনার পর নাটকীয় ভাবে গোটা বিশ্বকে বুঝিয়ে দিলেন তিনি, অবসর নিচ্ছেন। টোকিও অলিম্পিকের পরই অবসর নিয়েছিলেন, অবসর ভেঙে ভাগ্যিস ফিরে এলেন, নইলে কুস্তির দুনিয়ায় এমন রূপকথা লিখত কে?
কিউবার রাজধানী হাভানা থেকে ৮৭ মাইল দূরের ছোট্ট আধা শহর হেরাদুরা। আপাতত সেই শহরের বাসিন্দাদের উচ্ছ্বাসের অন্ত নেই৷ তাঁদের ঘরের ছেলে মিজাইন লোপেজ ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন প্যারিস অলিম্পিকে৷ পর পর ৫টি অলিম্পিকে সোনা জিতলেন সমাজতান্ত্রিক কিউবার এই অ্যাথলিট। এই আশ্চর্য সাফল্যে উদ্বেল গোটা কিউবা। আনন্দে দুচোখের জল বাঁধ মানছে না মা লিওনর নুনেজের। তাঁর ছেলে গোটা বিশ্বের সামনে উজ্জ্বল করে তুলেছেন কমিউনিস্ট কিউবার নিশান৷ মা বলছেন, "আমি জানতাম ও জিতবেই৷ গোটা দেশ, আমাদের এই ছোট্ট শহরের সব্বাই অপেক্ষা করে ছিলাম যে.."।
কেরিয়ারকে বিদায় জানিয়েই ছিলেন। তিন বছর ছিলেন রেসলিং ম্যাটের বাইরে। তারপর আবার ফিরে আসেন। প্রমাণ করলেন, এভাবেও ফিরে আসা যায়। কুস্তির দুনিয়াকে বিদায় বললেন লোপেজ। অলিম্পিকের মহাকাব্যে অবশ্য হয়ে গেলেন অমর।