১৯৯৮ সালে প্রথমবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন (World Cup Champion) হয় ফ্রান্স (France)। কিন্তু তার আগে পরপর দুবার বিশ্বকাপ (World Cup) খেলার যোগ্যতাই অর্জন করতে পারেনি ফরাসিরা। তবে, চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর থেকে সাতটি বিশ্বকাপের মধ্যে চারটিতেই ফাইনালে (World Cup Final) উঠেছে ফ্রান্স। কিভাবে হল এই আমূল পরিবর্তন? কেনই বা ফ্রান্সকে বলা হয় আধুনিক ফুটবল তৈরির কারখানা?
আসলে প্রতিবছর বিশ্বমানের নতুন ফুটবলার খুঁজে আনাই একমাত্র লক্ষ্য ফ্রেঞ্চ ফুটবল ফেডারেশনের। সারা বছর ধরে ফেডারেশনের প্রতিনিধিরা ঘুরে বেড়ান দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। যে কোনও ফুটবল প্রতিযোগিতা শুনলেই তাঁরা চলে যান। সেখানে খুঁজে দেখেন কোনও প্রতিভাবানকে পাওয়া যায় কি না। সেখান থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ফুটবল স্কুলে।
প্রতিভা খুঁজে পাওয়ার পর তাঁদের প্রতিপালনের জন্যও নির্দিষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে। তাঁদের জন্য গড়ে তোলা হয়েছে ১৪ টি ফুটবল স্কুল। রয়েছে ১০০ টি ক্লাব। স্কুল শেষ হওয়ার পর কোন ক্লাবে খেলবেন তা নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। স্কুলগুলি থেকে পছন্দের ফুটবলার বেছে নেয় ক্লাবগুলি। ঠিক যেন কলেজ ক্যাম্পাসের ইন্টারভিউ।
আরও পড়ুন- স্বপ্নপূরণের রাত, হুড খোলা বাসে চেপে উদযাপন মেসিদের
ফলে, রোজগারের জন্য চিন্তা করতে হয় না উঠতি ফুটবলারদের। আর ঠিক এই কারণেই বিশ্বকাপ, ইউরোকাপে ফ্রান্স নিজের জন্য একটি মান ধরে রাখতে পেরেছে। এভাবেই প্যারিসের উত্তর শহরতলির একটি উদ্বাস্তু শিবির থেকে খুঁজে আনা হয়েছিল কিলিয়ন এমবাপে, পল পোগবাকে।