পরপর দুই ম্যাচে জয় পেয়ে গ্রুপ জি থেকে ইতিমধ্যেই বিশ্বকাপের নক-আউট পর্বে পৌঁছে গিয়েছে ব্রাজিল। সার্বিয়া এবং সুইজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচগুলিতে মাঠে 'জোগো বোনিত্তো'র ছন্দ দেখে মুগ্ধ দর্শক ও সমর্থকেরা। সেকেন্ড রাউন্ডে পৌঁছে যাওয়ায় ক্যামেরুনের বিরুদ্ধে ম্যাচটি ব্রাজিলের কাছে একপ্রকার নিয়মরক্ষারই। আর, সেই কারণেই সতর্ক নেইমারের দল। নেইমারের মতো চোট যাতে আর অন্য কোনও হেভিওয়েট খেলোয়াড়ের না লাগে সেকেন্ড রাউন্ডের আগে, তাই এই ম্যাচটিতে নতুনদের বেশি করে সুযোগ দেওয়া হবে বলেই জানানো হয়েছে টিম ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে। রদ্রিগো কিংবা গ্যাব্রিয়েল মার্টিনেল্লির মতো ফুটবলাররা তাঁদের প্রথম বিশ্বকাপে মাঠে নামতে পারেন ক্যামেরুনের বিরুদ্ধেই।
অন্যদিকে, লুসাইল স্টেডিয়ামে ব্রাজিলের মুখোমুখি হওয়ার আগে রীতিমত বেকায়দায় ক্যামেরুন। সুইজারল্যান্ডের কাছে প্রথম ম্যাচেই ১ গোলে হেরে যায় আফ্রিকান সিংহরা। সার্বিয়ার বিরুদ্ধে ৩-১ গোলে পিছিয়ে থেকে যখন হেরে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল রিগোবার্ত সং-এর দলের, সেইসময়ই ভিনসেন্ট আবুবকর ও এরিক ম্যাক্সিমের দৌলতে ম্যাচে ফেরে ক্যামেরুন। যার শুরুটা হয়েছিল জঁ চার্লস ক্যাস্টেলেত্তোর গোলের মাধ্যমে।
২০১০ সালের দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপের পর এই প্রথমবার বিশ্বকাপে গ্রুপ লিগে তাদের প্রথম দুটি ম্যাচে পরপর জয় পেয়ে সেকেন্ড রাউন্ডে যাওয়ার পথ সুনিশ্চিত করেছে ব্রাজিল।
সমর্থকদের আশা, ব্রাজিলের এই বিজয়রথ অব্যাহত থাকবে ক্যামেরুনের বিরুদ্ধেও।