বিশ্বকাপে নিষিদ্ধ হল ‘ওয়ান লাভ’ বাহুবন্ধনী। সব ক্ষেত্রেই কাতারের অবস্থান মেনে নিচ্ছে ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা। শেষ মুহূর্তে ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের উপর চাপ প্রয়োগ করলেন ফিফা কর্তারা।
ওয়ান লাভ আর্মব্যান্ডটি ইংল্যান্ডের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের বৈষম্য বিরোধী প্রচারের সঙ্গে যুক্ত। কাতারে সমকামিতা নিষিদ্ধ। এর বিরুদ্ধে এলজিবিটিকিউ সম্প্রদায়ের মানুষরা প্রথম থেকেই প্রতিবাদে সোচ্চার। তাঁদের সমানাধিকারের দাবিকে সম্মান জানাতে ইউরোপের সাতটি দেশের অধিনায়করা মাঠে ‘ওয়ান লাভ’ বাহুবন্ধনী পরে নামার কথা জানিয়েছিলেন। কিন্তু কাতার প্রশাসন এবং ফিফার ক়ড়া মনোভাবের পর সেই অবস্থান থেকে সরে এল তারা।
নীতিগত ভাবে ফিফার সিদ্ধান্ত মানতে পারছেন না অনেকেই।ফিফার তরফে জানানো হয়েছে, নিয়মের বাইরে কিছু করা যাবে না। তেমন কিছু হলে শাস্তির মুখে পড়তে হবে সংশ্লিষ্ট দলকে। অধিনায়করা ‘ওয়ান লাভ’ বাহুবন্ধনী পরে মাঠে নামলে হলুদ কার্ড দেখানো হবে।
ফিফার এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ ফুটবল সাপোটার্স অ্যাসোসিয়েশন। সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই সিদ্ধান্তে ফুটবলেপ্রেমীরা ক্ষুব্ধ, প্রতারিত বোধ করছেন।
২০১০ সালে কাতার বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজনের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই শুরু হয় বিতর্ক। রক্ষণশীল কাতারের একাধিক নিয়ম নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্রতিবাদ জানায় বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন।