আগেই মহারাজ জানান, তিনি বাংলার প্রেসিডেন্ট পদে লড়াই করবেন। কিন্তু মঙ্গলবার সকালেই বোর্ডের বার্ষিক সভায় যোগ দেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। সভায় উপস্থিত রয়েছেন জয় শাহ।
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরানো নিয়ে শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতোর। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সৌরভকে বাদ দিলেও কেন জয় শাহকে প্রশাসক পদে রাখা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তাঁর কথায়, "সারা পৃথিবীর ক্রিকেটপ্রেমীদের তরফ থেকে বলব, সৌরভ আমাদের গৌরব। সৌরভ যথেষ্ট দক্ষতার সঙ্গে মাঠেও খেলেছে, প্রশাসনও চালিয়েছে। ও বিসিসিআইয়ের সভাপতি ছিল। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সৌরভের জন্য ছিল, অমিত শাহের ছেলের জন্যও ছিল। সৌরভ নেই, কিন্তু অমিতবাবুর ছেলে থেকে গেলেন। সৌরভকে বাদ দেওয়া হল কোন উদ্দেশ্যে? অন্যদিকে, শাহরুখকে সরিয়ে সৌরভকে বাংলার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর করার পক্ষে সওয়াল করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
শনিবার 'বাংলার দাদা' সিএবির নির্বাচনে লড়ার কথা জানান। তাঁর কথায়, "আগামী ২২ অক্টোবর মনোনয়ন জমা দেওয়ার ইচ্ছে রয়েছে। পাঁচ বছর আমি সিএবি-তে ছিলাম। লোধা কমিটির নিয়ম অনুযায়ী আরও চার বছর থাকতে পারব। ২০ তারিখের মধ্যে নিজের প্যানেল তৈরি করে ফেলতে পারব বলে আশা করছি।” উল্লেখ্য, আদৌও সৌরভ আইসিসিতে যাচ্ছেন কি না, তা মঙ্গলবার বোর্ডের বার্ষিক সাধারণ সভার পরেই স্পষ্ট হয়ে যাবে বলেই খবর।