২০১১ সালে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন তিনি। রবিবার আরও একটা বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলতে নামবেন বিরাট কোহলি। তাঁকে ঘিরে অনুরাগীদের প্রত্যাশা অনেক। মাঠে দুর্দান্ত পারফর্ম যেমন করেন, তেমনই বিরাট কিন্তু ভীষণ ফ্যাশন সচেতন। তাঁর শরীরে রয়েছে মোট ১২টি ট্যাটু। প্রতিটি ট্যাটুই অর্থবহ।
রাটের বাঁ কাঁধে রয়েছে গড্স আই ট্যাটু। এর অর্থ হল, সব সময় সর্বশক্তিমানের দৃষ্টি রয়েছে তাঁর প্রতি।
বিরাটের বাঁ হাতের বাহুর উপর দিকে রয়েছে সামুরাই ট্যাটু৷ জাপানি সামুরাইদের চরিত্রের বৈশিষ্ট হল শৃঙ্খলা, সাহসিকতা, সততা, বিশ্বস্ততা। বিরাটও এগুলিতে বিশ্বাস করেন।
বিরাটের বাঁ হাতের আর একটি ট্যাটুতে লেখা রয়েছে '২৬৯' সংখ্যাটি। ২০১১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ভারতের ২৬৯ তম টেস্ট ক্রিকেটার হিসাবে অভিষেক হয়েছি কোহলির।
ভারতের ১৭৮ তম একদিনের আর্ন্তজাতিক ক্রিকেটার হিসাবে অভিষেক হয় বিরাটের। তাই বাঁ হাতের আরেকটি ট্যাটুতে রয়েছে ১৭৫ সংখ্যাটি।
বাঁ হাতের উপরের দিকে একটি ট্যাটুতে মা সরোজের নাম লিখেছেন বিরাট। আরেকটি ট্যাটুতে ২০০৬ সালে প্রয়াত বাবা প্রেম কোহলির নাম।
বাঁ হাতের উপর দিকে ভগবান শিবের ট্যাটু করিয়েছেন শিবভক্ত বিরাট। বাঁ হাতেই রয়েছে শক্তি ও শান্তির প্রতীক মনাস্ট্রি ট্যাটু।
বিরাটের হাতে আছে ট্রাইবাল বা আদিবাসী মানুষের মুখ আঁকা একটি ট্যাটু। ডান হাতে রয়েছে তাঁর রাশি স্করপিও-র ট্যাটু।
কোহলির হাতের একটি ট্যাটুতে রয়েছে 'ওম' শব্দটি৷ এছাড়া রয়েছে ফুলেল আকৃতির ডট ওয়ার্ক ট্যাটু। এই দুটি ট্যাটুই বিরাটের আধ্যাত্মিকতার প্রতীক।