প্যারিসে জোরকদমে চলছে অলিম্পিক্স। গোটা বিশ্বের ক্রীড়াপ্রেমীদের নজর এখন ফ্রান্সে। প্রতিবারের মতোই এবারেও অলিম্পিক্সের অন্যতম মূল আকর্ষণ অ্যাথলেটিকস। আর, 'অ্যাথলেটিকস' বলতেই প্রথমেই মনে পড়ে যে ইভেন্টের কথা, তা হল- দৌড়! টানটান স্প্রিন্ট নিয়ে স্টার্টিং পয়েন্ট থেকে ছিটকে বেরোনো এবং প্রায় বুলেটের গতিতে পৌঁছে যাওয়া এন্ডিং পয়েন্টে। একশো মিটার, দুশো মিটার, চারশো মিটার! দৌড়ের ভাগের শেষ নেই। আরও একটি দৌড়ের বিভাগ রয়েছে। যা প্রাচীনকাল থেকেই অলিম্পিক্সের অংশ। ম্যারাথন! এই দৌড়েই দুনিয়ার সব জাতিকে পিছনে ফেলে দিয়েছে পূর্ব আফ্রিকার দেশ কেনিয়ার একটি উপজাতি। যার নাম- ক্যালেনজিন। কেনিয়ার রিফ্ট ভ্যালি এবং উগান্ডার মাউন্ট এলগনের পূর্ব ঢালে যাদের বসবাস।
বিজ্ঞানী এবং গবেষকরা বছরের পর বছর ধরে গবেষণা করে দৌড়ের ট্র্যাকে ক্যালেনজিনদের দক্ষতার মূল কারণ হিসেবে তুলে ধরেছেন- তাঁদের উচ্চ স্টার্চযুক্ত খাদ্য থেকে শুরু করে উচ্চতা ও আর্থ-সামাজিক অবস্থানকেও। তবে, যে কারণটি বারবার উঠে এসেছে দৌড়বিদ হিসেবে তাঁদের প্রজন্মগত দক্ষতার নেপথ্যে, তা হল- তাঁদের দেহের আকৃতি।
ক্যালেনজিন উপজাতির মানুষদের গোড়ালির গড়ন পাতলা। পায়ের ডিমও ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে দৌড়ের উপযোগী। এই বিশেষ দেহের গঠন, বিষুবরেখার কাছে বেড়ে ওঠা মানুষদের হয়। কিন্তু, মূল কারণটা হল- পায়ের গড়ন। তার সঙ্গেই রয়েছে মানসিক দৃঢ়তা। যা বিভিন্ন অবিশ্বাস্য ও অমানুষিক প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে বেড়ে উঠতে উঠতে আপসেই এঁদের জীবনধারণের মধ্যে সম্পৃক্ত হয়ে যায়।