Best Smartphone under 40K: কম বাজেটে নতুন ফোন খুঁজছেন? ৪০ হাজারের নীচে রয়েছে বেস্ট  ৫ স্মার্টফোন 

Updated : Nov 26, 2024 09:42
|
Editorji News Desk

নতুন বছরের শুরুতেই কিনবেন নতুন স্মার্টফোন? বাজেট ৪০ হাজার টাকা? কিন্তু কোন ফোন কিনবেন ভেবে পারছেন না? চিন্তা নেই। ইতিমধ্যে লঞ্চ করেছে ৫টি দুর্দান্ত ফোন। যার মধ্যে একটি আপনার উইশলিস্টে রাখতেই পারেন।  

৪০ হাজার টাকার নীচে যে ফোনগুলি রয়েছে সেই তালিকার প্রথমেই রয়েছে Vivo T3 Ultra। ফোনটির দাম রাখা হয়েছে ৩২ হাজার টাকা। গেমারদের জন্য এটা দুর্দান্ত একটি স্মার্টফোন। দেওয়া হয়েছে মিডিয়াটেক ডায়মেনসিটি 9200 চিপসেট। বেঞ্চমার্ক টেস্টে দেখা গিয়েছে Vivo V40 এবং Moto Edge 50 Ultra-র থেকে  T3 Ultra পারফরম্যান্সে অনেকটাই এগিয়ে। এই ফোনটিতে 60 FPS-এ BGMI এবং 120 FPS-এ Call of Duty অত্যন্ত স্মুথলি রান করেছে। ফলে গেমিং-এর জন্য এই ফোনটি আদর্শ।  ViVo-র প্রতিটি ফোনেই থাকে আকর্ষণীয় ক্যামেরা সেটআপ। ব্যাতিক্রম হয়নি T3 Ultra-র ক্ষেত্রেও। ওয়াইড এবং পোর্টেট উভয় ক্ষেত্রেই দুর্দান্ত ফটোগ্রাাফি সম্ভব এই ফোনে। T3 Ultra-তে দেওয়া হয়েছে 5500 mAh ব্যাটারি। ফলে একটানা ৯ ঘণ্টা ফোনটি ব্যবহার করা সম্ভব। ফোনটির বেসিক প্রাইস ৩২ হাজার টাকা রাখা হলেও 12GB RAM ভ্যারিয়েন্টের দাম রাখা হয়েছে ৩৫ হাজার ৯৯৯টাকা। যদি  গেমিং,ব্যাটারি এবং ফটোগ্রাফি আপনার প্রায়োরিটি হয় তাহলে অবশ্যই এই ফোনটি বেস্ট চয়েস হতে পারে। 


৪০ হাজার টাকার নীচে রয়েছে আরও একটি দুর্দান্ত ফোন। যদি আপনার ছবি তোলার নেশা থাকে তাহলে Realme 13 Pro+ মডেলটি আপনার উইশলিস্টে রাখতেই পারেন। এটা হচ্ছে ভারতের প্রথম স্মার্টফোন যার মধ্যে দেওয়া হয়েছে ডুয়েল লিটিয়া সেন্সর। তারমধ্যে 50মেগাপিক্সেল ক্যামেরার জন্য দেওয়া হয়েছে লিটিয়া (LYT)-701 এবং 50 মেগাপিক্সেল টেলিফটো লেন্সের জন্য দেওয়া হয়েছে লিটিয়া 600 সেন্সর। এছাড়াও 8MP আলট্রা ওয়াইড লেন্স দেওয়া হয়েছে। Realme-র এই মডেলটিতে ইনবিল্ড করা হয়েছে বিশেষ AI অ্যালগরিদম। যার ফলে ছবি তোলার পর পোস্ট প্রসেসিং-এ সুবিধা হবে। শুধু ডে-লাইট ইমেজ ভালো আসবে এমনটা কিন্তু নয়, AI পাওয়ার্ড ইমেজ প্রসেসিং ইউনিট থাকার ফলে নাইট ফটোগ্রাফিতে কোনও নয়েজ পাওয়া যায় না। এমনকি স্যাডোও সঠিক মাত্রায় থাকে। পোট্রেট ইমেজের জন্য সঠিক মাত্রায় কনট্রাস্ট ক্যাপচার করতে পারে ফোনের ক্যামেরা সেন্সরগুলি। ফোনে রয়েছে SnapDragon 7S Gen 2 চিপসেট। তবে ২০২৪-এর লেটেস্ট আপডেট অনুযায়ী যা খুবই বেসিক। তবে সারাদিনের সাধারণ কাজকর্ম এবং লো রেজলিউশন গেম খেলতে কোনও সমস্যা হবে না। ফোনটির দাম রাখা হয়েছে প্রায় ৩০ হাজার টাকা। যাঁরা মোবাইল ফটোগ্রাফির জন্য স্মার্টফোন খুঁজছেন তাঁদের জন্য এই বাজেট ফোনটি হবে আদর্শ। 

পরবর্তী ফোনটি হল Galaxy S23FE। ২০২৩ সালের অক্টোবরে ফোনটি লঞ্চ করা হয়েছিল। এটাই স্যামসাং গ্যালাক্সি সিরিজের মধ্যে সবথেকে অ্যাফোর্ডেবল ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন। দুর্দান্ত বেশ কয়েকটি স্পেশিফিকেশন দেওয়া হয়েছে ফোনটিতে। অনলাইনে ৩৫ হাজার টাকার মধ্যেই ফোনটি কিনতে পারবেন। প্রায় একবছর পর স্যামসাং-এর এই ফোনটি কেনা কি সঠিক সিদ্ধান্ত? এই ফোনটিতে দেওয়া হয়েছে এক্সিনক্স ২২০০ প্রসেসর। যার ফলে সারাদিনের বেসিক কাজকর্মগুলি সহজেই করা সম্ভব হবে। কোনওরকম বাফার ছাড়াই বেশ কিছু জনপ্রিয় গেম খেলা যাবে নিরবিচ্ছিন্ন ভাবেই। এছাড়াও Android 17 পর্যন্ত সফ্টওয়ার আপডেটের সুবিধাও পাবেন ব্যবহারকারীরা। ফলে আগামী কয়েকবছর অনায়াসে ব্যবহার করা যাবে ফোনটি। শুধু প্রসেসিং ইউনিট নয়, এই ফোনে রয়েছে ট্রিপল রিয়ার ক্যামেরা সেটআপ। তারমধ্যে 50MP প্রাইমারি, 12MP আলট্রা ওয়াইড এবং 8MP টেলিফটো লেন্স দেওয়া হয়েছে। প্রাইমারি ক্যামেরা দিয়ে নাইট ফটোগ্রাফি অত্যন্ত দুর্দান্ত। প্রতিটি ছবির কনট্রাস্টও সঠিক মাত্রায় থাকছে। শুধু স্টিল ইমেজ নয়, টপ-নচ কোয়ালিটির ভিডিয়ো রেকর্ড সম্ভব। এছাড়াও স্টেবিলাইজার দেওয়া হয়েছে ফোনটিতে। ফলে ভিডিয়ো রেকর্ডের সময় কোনও শেকিং হয় না। পোস্ট প্রসেসিং ম্যাজিক রয়েছে Galaxy S23-তে। ফলে 3X জুম করার পরও ক্লিয়ার স্টিল ইমেজ ক্যাপচার সম্ভব। আপনি যদি কমন দামের মধ্যে ফ্ল্যাগশিপ ফোনের খোঁজ করেন তাহলে Samsung-এর এই ফোনটি হবে আপনার বেস্ট চয়েস। 

OnePlus 12R। Gen Z-এর জন্য এটাই হতে পারে বেস্ট ফোন। 6.78" AMOLED ডিসপ্লে রয়েছে ফোনটিতে। এছাড়াও ফোনের রিফ্রেশ রেট ১২০ Hz। এছাড়াও থাকছে Dolby Vision। সেই কারণে OTT প্ল্যাটফর্মে কোনও কনটেন্ট দেখতে হলে নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে সেই কন্টেন্ট নিরবিচ্ছিন্নভাবে স্ট্রিমিং সম্ভব। 4500 নিটস পিক ব্রাইটনেস রয়েছে। সেই কারণে দিনের আলোতেও স্ক্রিন দেখতে কোনও সমস্যা হবে না। স্মুথ পারফরম্যান্সের জন্য দেওয়া হয়েছে Snapdragon 8Gen 2 চিপসেট। সেই কারণে গেমিং এবং হাই পারফরম্যান্স টাস্ক অত্যন্ত স্মুথলি রান করতে পারবেন। Oneplus 12R-এর ক্যামেরা সেটআপও অত্যন্ত আকর্ষণীয়। 50 MP-র মেন সেন্সর রয়েছে। ফলে যে কোনও ছবি নয়েজ ফ্রি  করা সম্ভব। 5500 mAh ব্যাটারি দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে রয়েছে 100 ওয়াট  ফাস্ট চার্জিং অ্যাডপ্টার। সেই কারণে মাত্র ২৬ মিনিটে ফোনটি ১ শতাংশ থেকে ১০০ শতাংশ চার্জ সম্ভব। ফোনটি কিনতে পারবেন ৩৯ হাজার ৯৯৯ টাকায়। তবে একাধিক ইকমার্স ওয়েবসাইটে ফোনটিতে বিপুল ডিসকাউন্ট দেওয়া হচেছে। 

৪০ হাজার টাকার কমে রয়েছে MoTo Edge 50 Pr০। মাত্র ৩২ হাজর টাকাতেই এই ফোনটি কিনতে পারবেন। ফোনে রয়েছে ১৪৪Hz ডিলপ্লে এবং স্ন্যাপড্রাগন Gen 3 প্রসেসর। ফলে গেমিং এবং মাল্টি টাস্কিংয়ের জন্য এই ফোনচি হতে পারে আপনার বেস্ট চয়েস। মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যেই ফোনটি ১০০ শতাংশ চার্জ করা সম্ভব। Android 14  এর উপর Hello UI স্কিন থাকছে। 

তাহলে আর দেরি কেন? এই তালিকা থেকে বেছে নিতে আপনার পছন্দের স্মার্টফোন। 

Smartphone

Recommended For You

editorji | প্রযুক্তি

Smartphone Buying tips: দামী স্মার্টফোন কেনার প্ল্যান করছেন! সত্যিই কোনও লাভ হবে আপনার? জেনে নিন

editorji | প্রযুক্তি

IQOO 13 specification: ঝকঝকে ছবি, আলট্রা কুলিং টেকনোলজি! ভারতে লঞ্চ হল IQOO 13

editorji | প্রযুক্তি

UBER One: বিনা পয়সায় Uber রাইড, কীভাবে পাবেন এই সুবিধা? জানুন

editorji | প্রযুক্তি

Apaar Card : আধারের মতোই গুরুত্বপূর্ণ পরিচয়পত্র 'আপার কার্ড', কী হবে এই নথি দিয়ে?

editorji | প্রযুক্তি

Death App: কোনদিন ঘনিয়ে আসবে মৃত্যু? জানিয়ে দেবে বিশেষ অ্যাপ