সময় বদলেছে। ফিচার ফোনের বদলে বাজার দখল করেছে স্মার্টফোন। স্মার্টফোনের মধ্যেও এসেছে একাধিক বদল। AI নির্ভর হয়ে পড়ছে অধিকাংশ ডিভাইস। যার ফলে ফিচারের সংখ্যা যেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে তেমনই দামও বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। অনেকেই অত্যাধুনিক ফিচার পাওয়ার লোভে দামী ফোন কিনছেন। কিন্তু এর ফলে কি সত্যিই লাভ হবে? নাকি শুধুই অর্থ খরচ?
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, স্মার্টফোন হল মূলত লায়াবিলিটি। অর্থাৎ যত পুরনো হবে ততই দাম কমতে থাকবে এই ডিভাইসের। সেই কারণে অতিরিক্ত বেশি দাম দিয়ে স্মার্টফোন কেনা সঠিক সিদ্ধান্ত নয়। তার পিছনে রয়েছে বেশ কিছু যুক্তি। জেনে নেওয়া যাক সেই সব কারণ-
ক্যামেরা-
ক্যামেরা কোয়ালিটির উপর অনেকটাই নির্ভর করে স্মার্টফোনের দাম। ফলে দামী ফোনে ভালো ক্যামেরা কোয়ালিটি থাকবে এটা একপ্রকার নিশ্চিত। কিন্তু মিড রেঞ্জ স্মার্টফোনগুলিতেও বর্তমানে AI প্রযুক্তি দেওয়ার ফলে ছবির কোয়ালিটি দামী ক্যামেরার মতোই হাই রেজলিউশন ছবি পাওয়া সম্ভব। সেই কারণে শুধুমাত্র দামী ফোনেই যে ভালো ছবি পাওয়া সম্ভব সেই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল।
হার্ডওয়ার-
প্রতিটি স্মার্টফোনে হার্ডওয়ার ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ একটি পার্টস। কারণ হার্ডওয়ারের উপর ফোনের পারফরম্যান্স নির্ভর করে। এমনকি, ফোন কতদিন চলবে সেই বিষয়টিও নির্ভর করে হার্ডওয়ারের উপরেই। সেই কারণে ভালো হার্ডওয়ার পাওয়ার জন্য দামী স্মার্টফোন কিনতেই পছন্দ করেন অনেকে। কিন্তু আপনি কি জানেন মিড রেঞ্জ স্মার্টফোনেও বর্তমানে দামী হার্ডওয়ার ব্যবহার করা হয়?
উদাহরণ স্বরূপ বলা যেতে পারে Xiaomi 12 Pro এবং Vivo X80 Pro দুটিই ফ্ল্যাগশিপ কালেকশন। এই ফোনদুটিতে যে SoC রয়েছে তার থেকে আরও আপগ্রেডেড চিপ ব্যবহার করা হয়েছে iQOO 11-এ। যদিও এই দুটি মডেলের তুলনায় iQOO 11-এর দাম অনেকটাই কম।
লং ব্যাটারি লাইফ ও ফাস্ট চার্জিং
প্রায় প্রতিটি স্মার্টফোনেই এখন ফাস্ট চার্জিং এবং লং ব্যাটারি লাইফ দেওয়া হয়। তার কারণ মোবাইল ব্যবহার অত্যধিক পরিমাণে বেড়ে গিয়েছে। ফলে দীর্ঘক্ষণ ধরে ফোন চার্জ দেওয়া হলে তা ব্যবহারকারীদের সমস্যা তৈরি হতে পারে। সেই কারণে প্রতিটি ফোনেই এখন এই সুবিধা দেওয়া হয়েছে। ফলে ফাস্ট চার্জিং এর জন্য দামী ফোন কেনা কোনও প্রয়োজন নেই।
এক্সটেন্ডেট ওয়ারেন্টি-
প্রতিটি স্মার্টফোনেই ওয়ারেন্টি থাকে। এর ফলে দামী হোক বা বাজেট মোবাইলের ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হলে বিনামূল্যে সারিয়ে দেয় নির্দিষ্ট সংস্থা। কিন্তু মিডরেঞ্জ ফোনের ক্ষেত্রে এক্সটেন্ডেড ওয়ারেন্টি দেয় অনেক কোম্পানি। ফ্ল্যাগশিপ ফোনের ক্ষেত্রে সেই সুবিধা খুব একটা নেই। সেই কারণে ফ্ল্যাগশিপ ফোনের জন্য প্রচুর টাকা খরচ না করে বাজেট ফোন কেনা বেস্ট অপশন।
ফোন কেনার জন্য প্রচুর টাকা খরচ করলেও সেই ফোন যে দীর্ঘদিন টিকবে এমনটা কিন্তু নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। সেই কারণে ফোন কেনার জন্য অতিরিক্ত অর্থ খরচ না করে বাজেট ফোন কেনাই উপযুক্ত সিদ্ধান্ত।