সময় দ্রুত বদলাচ্ছে। প্রযুক্তিগতদিকেও একাধিক পরিবর্তন এসেছে। আর নতুন প্রযুক্তিতে AI নির্ভর একটি স্মার্টফোন আনল IQOO। নতুন এই ফোনটি যেমন মধ্যবিত্তদের নাগালের মধ্যে তেমনই আবার ফিচারে ঠাসা। স্মার্টফোন আপগ্রেড করতে চাইলে এই ফোনটি তালিকায় রাখতেই পারেন।
চলতি মাসেই ভারতের বাজারে লঞ্চ হয়েছে IQOO-র ওই ফোনটি। ইতিমধ্যে প্রিবুকিং শুরু হয়েছে IQOO-র নিজস্ব ওয়েবসাইটে। চলতি মাসেই ফোনটি হাতে পেয়ে যেতে পাবেন ভারতীয় ব্যবহারকারীরা।
IQOO-র নতুন এই ফোনটিতে দেওয়া হয়েছে Snapdragon 8 প্রসেসর। গত সপ্তাহে লঞ্চ হয়েছিল Realme-র ফ্ল্যাগশিপ মডেল GT 7 Pro। ওই মডেলটিতেও ব্যবহার করা হয়েছিল Snapdragon-এর এই আপডেটেড প্রসেসর।
সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, IQOO 13-এ সবথেকে ফাস্ট স্মার্টফোন। কারণ ফোনে রয়েছে Snapdragon 8 Elite প্রসেসর। গেমিংয়ের জন্য দেওয়া হয়েছে Supercomputing Chip Q2 বুস্টার।
এছাড়াও যাঁরা গেম খেলতে পছন্দ করেন তাঁদের সুবিধার জন্য 2K গেম সুপার রেজলিউশন দেওয়া হয়েছে। এর ফলে গেমিং ভিজ্যুয়াল আরও ভালো হবে। 144 FPS-এর ফলে স্মুথ গেমপ্লে সম্ভব।
IQOO 13 ফোনে দেওয়া হয়েছে 2K AMOLED ডিসপ্লে। সংস্থার এটাই প্রথম মডেল যেখানে LTPO টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়েছে। এর ফলে ডায়নামিক রিফ্রেস রেট অ্যাডজাস্টমেন্টের সুবিধা পাওয়া সম্ভব। 1800 নিটস ডিসপ্লে দেওয়া হয়েছে ফোনটিতে।
সংস্থার দাবি, অন্য ফোনের মতো এই ফোনটি দ্রুত গরম হবে না। কারণ ফোনে দেওয়া হয়েছে ভেপার চেম্বার কুলিং সিস্টেম। অত্যাধুনিক এই প্রযুক্তির জন্য দীর্ঘক্ষণ ফোন ব্যবহার করলেও ফোন গরম হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
নতুন স্মার্টফোন কেনার আগে ফটোগ্রাফি করার কথাই Gen Z-র মাথায় থাকে। ফটোগ্রাফির কথা মাথায় রেখেই iQOO 13 মডেলটিতে দেওয়া হয়েছে ট্রিপল ক্যামেরা সেটআপ। যারমধ্যে রয়েছে 50 মেগাপিক্সেলের Sony IMX 921 প্রাইমারি সেন্সর, 50MP-র টেলিফটো লেন্স এবং 50MP-র আলট্রা ওয়াইড লেন্স। এছাড়াও সেলফির জন্য দেওয়া হয়েছে 32 মেগাপিক্সেলের সেলফি ক্যামেরা।
যে ইন্ডিয়ান ভ্যারিয়েন্ট লঞ্চ করা হয়েছে সেখানে দেওয়া হয়েছে 6000 মিলি অ্যাম্পেয়ার ব্যাটারি এবং সেখানে থাকছে 120 Watt এর ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট। যার ফলে 0 থেকে 100 শতাংশ পর্যন্ত চার্জ করতে সময় লাগবে ৩০ মিনিট।
ক্যামেরা মডিউলের বাইরে দেওয়া হয়েছে Monstar Halo লাইট। এর ফলে ফোনকল বা কোনও নটিফিকেশন এলে ওই লাইটটি ইন্ডিকেট করবে। মোট 72টি কম্বিশনের লাইট নোটিফিকেশন রয়েছে।
মোট দুটি কালার ভ্যারিয়েন্টে ফোনটি লঞ্চ করা হয়েছে। তারমধ্যে একটি নার্দো গ্রে এবং অন্যটি লেজেন্ট এডিশনের। যেখানে দেওয়া হয়েছে ট্রাই কালার স্ট্রিপ। IP69 রেটেড ওয়াটার রেজিস্টেন্স দেওয়া হয়েছে ফোনটিতে।
IQOO 13-এ দেওয়া হয়েছে Android 15। এবং তার উপর FunTouchOS 15-এর স্কিন দেওয়া হয়েছে। পাঁচ বছর পর্যন্ত সিকিউরিটি প্যাচ আপডেটের সুযোগ দেওয়া হবে।
তবে এই মডেলটিতে দেওয়া হয়েছে একাধিক প্রি ইনস্টল অ্যাপ। যার ফলে অ্যাপ আপডেটের ক্ষেত্রে নেট দ্রুত শেষ হতে পারে। এছাড়াও ফোনে নেই কোনও পেরিস্কোপ লেন্স।