ডিজিটাল ইন্ডিয়ার যুগে হাতে-কলমে কাজের পরিমাণ নেই বললেই চলে। ফাইলের ধুলো ঝাড়ার ঝামেলার ইতি। পরীক্ষার সার্টিফিকেট, ট্যাক্সের কাগজ, গাড়ির কাগজ, অফিসিয়াল ডকুমেন্ট, হাসপাতালের বিল সবই ডিজিটাল। আর এই ডিজিটাল যুগে পুরনো ফাইলেরও ডিজিটালাইজেশন হচ্ছে দ্রুত। সব সরকারি ও বেসরকারি দফতর পুরনো ফাইলের ডিজিটালাইলজ়ড করছে। আর এই ডকুমেন্টের ডিজিটাল ভার্সনের ক্ষেত্রে পিডিএফ ফরম্যাটের জুড়ি মেলা ভার। এতে ফাইল যেমন নিরাপদ থাকে, তেমনই পাঠানোও সহজ হয়। আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় অনেক ডকুমেন্টই পিডিএফ করার প্রয়োজন হয়। কীভাবে ল্যাপটপ বা ফোন থেকে পিডিএফ করতে পারবেন! জেনে নিন বিশদে।
উইন্ডোজ সিস্টেমে পিডিএফ তৈরি
উইন্ডোজ সিস্টেমে সবথেকে প্রাচীন পিডিএফ তৈরির পদ্ধতি এনেছিল অ্যাডোব। ফটোশপের বিভিন্ন ভার্সনে যে কোনও ছবি, ডকুমেন্ট পিডিএফ তৈরি করে দেয়। এক্সপোর্ট করার সময় পিডিএফ অপশন সেভ করলেই তা পিডিএফ হয়ে যায়।
মাইক্রোসফট অফিসের বিভিন্ন ভার্সনে পিডিএফ তৈরি করার অপশন দিয়ে রেখেছে। Ctrl+P অপশন সিলেক্ট করলেই প্রিন্টের অপশন পাওয়া যায়। ওই অপশন থেকেই সেভ অ্যাজ পিডিএফ করলে আপনার ডকুমেন্ট পিডিএফ হয়ে এক্সপোর্ট হয়। উইন্ডোজ ১০ থেকে এই সুবিধা পাওয়া যায়। ম্যাক ওএস-এও একইরকম ভাবে সেভ পিডিএফ করা যায়। পিডিএফের কোয়ালিটি বাড়ানো বা কমানো যায়। পাসওয়ার্ড দিয়েও সুরক্ষিত করা যায়।
ফোন থেকে পিডিএফ
অ্য়ান্ড্রয়েড বা আইফোন থেকে পিডিএফ তৈরি করা যায়। শেয়ার বাটনে ক্লিক করলে অপশন আসবে। ওই অপশনে সেন্ড অ্যাজ মেনু সিলেক্ট করতে বলবে। রিডার পিডিএফ সিলেক্ট করতে হবে। ওই ডকুমেন্ট পিডিএফ আকারে কাউকে শেয়ার করতে পারেন।
ক্লাউড অপশন
এছাড়াও বর্তমানে ক্লাউড কনভার্টারের মাধ্যমে আপনার ডকুমেন্ট পিডিএফ করতে পারেন। অনলাইন পিডিএফ কনভার্টার বলে সার্চ করলে অনেক অপশন পাবেন, যার মাধ্যমে আপনি পিডিএফ তৈরি করতে পারেন। ক্যানভা বা পিক্সলারের মতো অনেক ডিজাইন তৈরি করার সাইটেও পিডিএফ তৈরি করার অপশন আছে।