সঙ্গে ফোন থাকার অর্থ ডিজিট্যাল দুনিয়া হাতের মুঠোয়। ছবি তোলা থেকে শুরু করে এন্টারটেইনমেন্ট সবকিছুই সম্ভব মাত্র কয়েক ইঞ্চির ওই ডিভাইসের। শুধু কি তাই? গুরুত্বপূর্ণ ফাইল স্টোর করার জন্যই মুঠোফোন আদর্শ। কিন্তু ফোন স্লো হলেই বাড়ে সমস্যা। কোনও কাজই সহজে করা সম্ভব হয় না। এই সমস্য়া সমাধানে অধিকাংশই ফোনে জমে থাকা ফোটো বা ভিডিয়ো ডিলিট করে দেন। এতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ফাইল ডিলিট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই ছবি বা ভিডিয়ো ডিলিট না করেই অনায়াসে ফোনের স্পেস ফাঁকা করতে পারবেন। জেনে নিন সেই উপায়-
অ্য়াপের ব্যবহার- প্রত্যেকের ফোনেই একাধিক অ্য়াপ ইনস্টল করা থাকে। তার মধ্যে অনেক অ্য়াপই সচরাচর ব্যবহার করা হয়না। সেই কারণে অপ্রয়োজনীয় অ্য়াপগুলি আন ইনস্টল করে দিন। যদি আন ইনস্টল করতে না চান তাহলে ফোর্স স্টপ করে অফলাইনে রেখে দিন। এর ফলে ফোনের স্পেস খালি হবে।
অ্য়াপ আপডেট-প্রতিটি অ্য়াপই নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর আপডেট করা প্রয়োজন। এবং প্লে স্টোর থেকে এই অ্য়াপগুলি আপডেট করা সম্ভব। সেক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে আপডেটের পর প্রতিটি অ্য়াপের সাইজ অনেকটাই বেড়ে যায়। তাই প্রয়োজন ছাড়া অ্য়াপ আপডেট না করলে ফোনের স্পেস দ্রুত শেষ হবে না। তবে ব্যাঙ্কের অ্যাপ অবশ্যই আপডেট করা প্রয়োজন। কারণ আপডেট ফাইলের মধ্যে সিকিউরিটি প্যাচ থাকে। ব্যাঙ্ক অ্যাপ আপডেট না করলে বড় সমস্যায় পড়তে হতে পারে। এমনকি অ্য়াপ সঠিকভাবে কাজ নাও করতে পারে।
ড্রাইভের ব্যবহার- গুগল ড্রাইভ ছাড়াও বর্তমানে একাধিক ক্লাউড স্টোরেজ রয়েছে। যেখানে বিভিন্ন ফাইল রাখা সম্ভব। সেকারণে বড় ফাইল ফোনের স্টোরেজে রাখবেন না, বদলে যেকোনও ক্লাউড স্টোরেজে রেখে দিন আপনার প্রয়োজনীয় ফাইল।
ক্যাস ফাইল ক্লিয়ার- প্রতিটি ফোনেই থাকে ক্যাস মেমোরি। যেখানে বিভিন্ন ধরনের ছোটো ছোটো ফাইল জমা হতে থাকে। যার কারণে ফোন দ্রুত স্লো হয়। টেকনোলজি বিশেষজ্ঞরা বলেন, নিয়মিত ফোনের ক্যাস মেমোরি ডিলিট হওয়া প্রয়োজন। এতে স্পেস যেমন কমবে তেমন ফোন স্লো হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।
মেমোরি কার্ডের ব্যবহার- প্রতিটি ফোনের সঙ্গে আলাদা করে মেমোরি কার্ড স্লট থাকে। বড় কোনও ভিডিয়ো ক্লিপিং থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় ফাইল মেমোরি কার্ডে সেভ করে রাখতে পারেন। এই উপায়েও ফোনের স্পেস খালি করতে পারেন।
এই সহজ বিষয়গুলি মাথায় রাখলে ফোন থেকে কোনও ফাইল ডিলিট না করেও স্পেস বাড়ানো সম্ভব।