চলতি বছরেই লঞ্চ হয়েছে iPhone 16। একসঙ্গে অনেকগুলি ভ্যারিয়েন্ট লঞ্চ হয়েছে। এবার iPhone SE লঞ্চ করতে চলেছে ক্যালিফোর্নিয়ার এই সংস্থাটি। ফলে কম দামে প্রিমিয়াম কোয়ালিটির স্মার্টফোন হাতে পাবেন ব্যবহারকারীরা। ২০২৫ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকেই ওই ফ্ল্যাগশিপ ফোনটি লঞ্চের সম্ভাবনা রয়েছে। বিগত কয়েক মাস ধরেই iPhone SE-র বেশ কয়েকটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। তবে সেই ছবিগুলির সত্যতা সম্পর্কে কোনও তথ্যই প্রকাশ করেনি Apple। তবে সম্প্রতি সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ডিসেম্বর মাস থেকে iPhone SE-র মাস প্রডাকশন শুরু হবে।
প্রায় ৪ বছর পর iPhone SE-ফের লঞ্চ হতে চলেছে। এটি স্পেশাল এডিশনের চতুর্থ ভার্সন। ফলে যাঁরা পুরনো স্মার্টফোন আপগ্রেড করবেন তাঁরা অবশ্যই একাধিক নতুন ফিচার ব্যবহার করতে পারবেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন iPhone 16 এ যে ফিচারগুলি রয়েছে তারমধ্যে বেশ কয়েকটি ফিচার থাকতে পারে আপকামিং স্পেশাল এডিশনে। নতুন এই স্মার্টফোনে LG Innotek-এর ক্যামেরা ব্যবহার করা হতে পারে।
কবে লঞ্চ হবে?
iPhone SE 4 লঞ্চ হওয়ার কোনও নির্দিষ্ট দিন ঘোষণা করা হয়নি। তবে বিভিন্ন টিপস্টারদের মত, ২০২৫ সালের মার্চের শেষ অথবা এপ্রিলের শুরুতেই লঞ্চ করা হতে পারে নতুন এই স্মার্টফোন।
স্পেশিফিকেশন কেমন হতে পারে?
ব্যবহারকারীদের জন্য বড় কোনও ফিচার অ্যাড করা হতে পারে iPhone SE 4-এ। এমনটাই ধারণা টিপস্টারদের। নতুন এই স্মার্টফোনে ৬.০৬ ইঞ্চির স্ক্রিন থাকতে পারে। যা অনেকটা iPhone 14-এর মতোই দেখতে হবে। তবে ক্যামেরা সেটআপে খুব একটা বদল আসবে না। সিঙ্গল রিয়ার ক্যামেরা সেটআপ থাকবে। থাকবে OLED ডিসপ্লে। তারসঙ্গে Face id ফিচার পাবেন ব্যবহারকারীরা।
আপকামিং এই ফোনটিতে থাকতে পারে A18 চিপসেট। এছাড়াও থাকবে 8GB RAM। iPhone 16 এর মতো এই ফোনটিতেও অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স দেওয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা এই ফোনটি লঞ্চ করলে এটাই হবে সবথেকে অ্যাফোর্ডেবল AI Powered iPhone।
দাম কত হবে?
যেহেতু এখনও ফোনটির অফিসিয়াল লঞ্চ হয়নি সেই কারণে ফোনটির দাম কত হবে সেবিষয়ে সুনিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি। iPhone SE 3-র দাম ছিল ৪৩ হাজার ৯০০ টাকা। তবে নতুন এই মডেলটির দাম হতে পারে ৫০ হাজারের পাশাপাশি।
এদিকে iPhone SE-র জল্পনার মাঝেই আরও একটি খবর প্রকাশ্যে এসেছে। Ookla 5G স্পিড টেস্টে তালিকার শীর্ষে রয়েছে Apple iPhone 16। সম্প্রতি Ookla Speed test-এর এই তথ্য প্রকাশ করেছে নিজেদের এক্স হ্যান্ডেলে। প্রকাশিত তথ্যে জানানো হয়েছে, 5G স্পিডে বিশ্বের সব ফোনকে পিছনে ফেলে দেবে iPhone 16। বিশ্বের ১১টি দেশেই ফোনটির ইন্টারনেট স্পিড সব ফোনের থেকে অনেকটাই বেশি।
এরপরেই প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি iPhone SE 4-এও একই স্পিড পাওয়া যাবে? প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের ধারণা, A18 চিপসেট ব্যবহার করা হলে স্পিড অনেকটাই বেশি পাওয়া যাবে।