ইংরেজির প্রবাদ বাক্যটি কতোটা সত্যি, আরও একবার প্রমাণিত হল। ট্রুথ ইস স্ট্রেঞ্জার দ্যান ফিকশন। খুনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় বাবাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে মার্কিন আদালত। শেষ মুহূর্তে তার পাশে থাকতে চেয়ে আবেদন করলেন ১৯ বছরের মেয়ে। সে দেশের আইন বলছে, ২১ বছরের কম বয়সিদের এই চরম শাস্তি দানের প্রক্রিয়া দেখা নিষিদ্ধ। কিন্তু বাবার অন্তিম মুহূর্ত পর্যন্ত তার সঙ্গেই থাকতে চান মেয়ে।
২০০৫ সালে মিসৌরির এক পুলিশ আধিকারিককে খুনের দায়ে দোষী প্রমাণিত হন কেভিন জনসন। মেয়ে নরি র্যামির বয়স তখন মাত্র ২। তাহলে বাবার প্রতি এত টান? জেলেই বাবার সঙ্গে দেখা করতে যেতেন র্যামি। চিঠি লিখতেন, ফোনে কথা হত বাবা-মেয়ের। এভাবেই কখন যেন 'খুনী' বাবা জনসনই হয়ে উঠেছে র্যামির জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানুষ।
আদালতকে র্যামি জানিয়েছেন, তাঁর বাবার হাসপাতালে মৃত্যু হলে, সেই অন্তিম মুহূর্তে তিনি তো বাবার সঙ্গেই থাকতেন, বাবার শান্তির জন্য প্রার্থনা করতেন। একই ভাবে বাবাকে ইঞ্জেকশন দিতে চিরঘুমে পাঠানোর সময়েও তাঁকে যেন বাবার সঙ্গে থাকতে দেওয়া হয়।