ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের যুদ্ধ কি হবে? এমনই ইঙ্গিত দিল BNP। পদ্মাপাড়ের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের অন্যতম শীর্ষ নেতা মেজর হাফিজউদ্দিন আহমেদ বৃহস্পতিবার একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন। সেখানে তিনি জানান, ভারত যদি যুদ্ধ করে তাহলে ভারতেই দেশেই যুদ্ধ শেষ হবে। এবং যুদ্ধের জন্য বাংলাদেশের প্রত্যেক নাগরিকদের প্রস্তুত করা হবে।
চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারি এবং তাঁকে শাস্তি দেওয়া নিয়ে উত্তাল বাংলাদেশ। আগেই ভারত বিরোধিতার জিগির উঠেছিল। কিন্তু এবার সরাসরি যুদ্ধের হুমকি দেওয়ার ফলে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন তাহলে কি সত্যিই দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ হতে পারে?
অনেকেই আবার জানতে চাইছেন, দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ হলে কে জিততে পারে? কোন দেশের সামরিক অবস্থা কেমন? এই ভিডিয়োর শেষ পর্যন্ত দেখলেই জানতে পারবেন সামরিক শক্তিতে কোন দেশ দাঁড়িয়ে আছে কোন জায়গায়। সম্প্রতি এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার নামে একটি ওয়েবসাইট।
বিশ্বের ১৪৫টি দেশের মধ্যে ৩৭ নম্বরে রয়েছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে ভারত তৃতীয় স্থান দখল করেছে। ফলে আপাতদৃষ্টিতে বোঝাই সম্ভব ভারত অন্যদেশগুলির তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে। এমনকি বাংলাদেশ থেকে ৩৪টি স্থান এগিয়ে রয়েছে ভারত। তবে শুধুমাত্র প্যারামিলেটারি ফোর্সে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। ভারতের রয়েছে ২৫ লাখ প্যারামিলেটারি ফোর্স। যেখানে বাংলাদেশের রয়েছে ৬৮ হাজার প্যারামিলেটারি ফোর্স।
প্রথমেই আসা যাক দুই দেশের সামরিক খাতে আর্থিক বরাদ্দে। ভারত ২০২৪ সালে সামরিক খাতে বরাদ্দ করেছে ৭ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। সেখানে বাংলাদেশের ৬৯৫ কোটি টাকা। ফলে স্বাভাবিকভাবে ভারতের যুদ্ধাস্ত্র কেনা এবং যুদ্ধের অন্য সরঞ্জাম কেনার ক্ষেত্রেও এগিয়ে ভারত।
এবার আসা যাক যুদ্ধাস্ত্র কোন দেশের কেমন রয়েছে। বাংলাদেশের রয়েছে ৪৪টি যুদ্ধ বিমান। যেখানে ভারতের রয়েছে ৬০৬টি যুদ্ধ বিমান। অন্যদিকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মোট বিমান রয়েছে ২১৬টি। এবং ভারতের রয়েছে ২২৯৬টি বিমান।
ভারতীয় সেনায় রয়েছে ৩৫১জন প্রশিক্ষক। যাঁরা ভারতীয় সেনায় যাঁরা যোগদান করেন তাঁদের প্রশিক্ষণ দিয়ে যুদ্ধপযোগী তৈরি করেন । অন্যদিকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষক সংখ্যা মাত্র ৮৭জন।
বায়ুসেনার জন্য এরিয়াল ট্যাঙ্কার অতি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আকাশে কোনও বিমানের জ্বালানি ভরার ক্ষেত্রে সহায়তা করে এই বিশেষ বিমান। ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে এরিয়াল ট্যাঙ্কারের সংখ্যা ৬টি। কিন্তু বাংলাদেশের কাছে এই ধরনের বিমানের সংখ্যা একটাও নেই।
যুদ্ধের জন্য প্রয়োজন হেলিকপ্টার। ভারতের কাছে রয়েছে ৮৬৯টি হেলিকপ্টার। যেখানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাছে হেলিকপ্টারের সংখ্যা মাত্র ৭৩টি। এছাড়াও ভারতের কাছে রয়েছে ৪০টি আক্রমণকারী হেলিকপ্টার। কিন্তু বাংলাদেশের কাছে আক্রমণকারী হেলিকপ্টারের সংখ্যা একটাও নেই।
যুদ্ধের জন্য প্রয়োজন ট্যাঙ্ক। যেখানে ভারতের রয়েছে ৪৬১৪টি ট্যাঙ্ক সেখানে বাংলাদেশের ট্যাঙ্কের সংখ্যা মাত্র ৩২০টি। এছাড়াও মোবাইল ব়্যাকেট প্রজেক্টর ভারতের রয়েছে ৭০২টি এবং বাংলাদেশের কাছে রয়েছে ৭১টি। অন্যদিকে ভারতের কাছে ২টি এয়ারক্রাফ্ট ক্যারিয়ার থাকলেও বাংলাদেশের কাছে কোনও এয়ারক্রাফ্ট ক্যারিয়ার নেই। ফলে যুদ্ধের সরঞ্জামের দিক থেকেও এগিয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনী।
নৌবাহিনীর ক্ষেত্রেও এগিয়ে রয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে রয়েছে ১৮টি সাবমেরিন। অন্যদিকে বাংলাদেশের কাছে রয়েছে ২টি সাবমেরিন। ফলে নৌবাহিনীর ক্ষেত্রেও এগিয়ে ভারত।