২০১৮ সালে লেবানন সফরে যাওয়াই নাকি কাল হয়েছিল লেখক সলমন রুশদির (Salman Rushdie) হামলাকারী হাদি মাতারের (Hadi Matar)। এমনটাই জানিয়েছেন ২৪ বছর বয়সী হাদির মা. তারপরই বেশ কিছু পরিবর্তন দেখা দিয়েছিল হাদির মধ্যে।
হাদি মাতারের মা সিলভানা ফারদোস জানিয়েছেন, লেবাননে তার বাবার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল তাঁর ছেলে। তারপরই সে অত্যন্ত বদমেজাজি হয়ে যায়। লেবানন থেকে ফেরার পর সে নিজেকে বেসমেন্টে বন্দি করে রাখত। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও নাকি কথা বলত না। দিনের বেলা সে ঘুমোতো। রাতে জেগে থাকত। ছোটবেলাতেই কেন তার মা তার সঙ্গে ইসলামের পরিচয় করিয়ে দেননি, তা নিয়ে সম্প্রতি ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল হাদির মনে।
সিলভানা স্পষ্ট জানিয়েছেন পরিবার হাদি মাতারের পাশে দাঁড়াবে না। ফারদোস এফবিআইকে বলেছেন, হাদি মাতারের সঙ্গে তিনি আর কোনওদিন কথা বলবেন না। হাদিকে ছাড়াই জীবনে এগিয়ে চলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মা।
শনিবার হাদি মাতারকে মার্কিন আদালতে হাজির করেছিল এফবিআই। সে অবশ্য নিজেকে নির্দোষ বলেই দাবি করেছে। সলমন রুশদির হামলাকারী হাদি মাতারের জন্ম ক্যালিফোর্নিয়ায় হলেও হাদি আদতে ইরানি বংশোদ্ভূত। শিয়া কট্টরপন্থায় বিশ্বাসী হাদির আনুগত্য রয়েছে ইরানের ‘ইসলামিক রেভলিউশনারি গার্ড’-এর প্রতি। তবে তিনি সরাসরি কোনও কট্টরপন্থী সংগঠনের সদস্য কি না, তা এখনও জানা যায়নি।
গত শুক্রবার নিউইয়র্কে ভাষণ দেওয়ার সময় মঞ্চেই আক্রান্ত হন রুশদি। লেখকের ঘাড়ে ও পেটে অন্তত ১০বার ছুরিকাঘাত করেছিল হামলাকারী। তারপরই তাকে গ্রেফতার করা হয়। হাদির বিরুদ্ধে হত্যার চেষ্টা এবং হামলার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে নিউইয়র্ক পুলিশ।