মাইক্রো RNA ও জিন নিয়ন্ত্রণের গবেষণায় বিশেষ ভূমিকা। নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে মার্কিন বিজ্ঞানী ভিক্টর অ্যামব্রোজ ও গ্যারি রুভকুন। তাঁদের জিন নিয়ে বিশেষ গবেষণায় মানবসভ্যতার চিকিৎসাশাস্ত্রে নতুন দিক খুলে গিয়েছে।
সোমবার সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে নোবেল কমিটি এই পুরস্কার ঘোষণা করে। নোবেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মাইক্রো RNA আবিষ্কার ও পোস্ট ট্রান্সক্রিপশন জিন নিয়ন্ত্রণে মার্কিন বিজ্ঞানী ভিক্টর অ্যামব্রোজ ও গ্যারি রুভকুন অনন্য অবদান রেখেছেন।
কী এই মাইক্রো RNA! কেন এত গুরুত্ব! ক্ষুদ্র RNA অণু, যা মানবশরীরে জৈবিক প্রক্রিয়ায় ভূমিকা রাখে। জিন নিয়ন্ত্রণে এর গুরুত্ব অপরিসীম। গ্যারি রুভকুন ও ভিক্টর অ্যামব্রোজের গবেষণার মাধ্যমে জানা যায়, মাইক্রো RNA পোস্ট ট্রান্সক্রিপশনাল জিন নিয়ন্ত্রণ করে। যা কোষের কার্যকারিতা ও বিভিন্ন রোগ নির্ণয়ে নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। ক্যানসার, কার্ডিও ভাসকুলার রোগ, স্নায়ুবিক রোগের চিকিৎসায় এই আবিষ্কার নতুন ধরনের থেরাপির সম্ভাবনা খুঁজে পাচ্ছে বিজ্ঞানী মহল।
২০২৩ সালে চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পান ক্যাটালিন কারিকো ও ড্রিউ ওয়েইসম্যান। নিউক্লিওসাইড বেস পরিবর্তন সংক্রান্ত আবিষ্কারে জন্য নোবেল পান তাঁরা। কোভিড ১৯-এর জন্য কার্যকর মাইক্রো RNA ভ্যাকসিন তৈরিতে চিকিৎসাবিজ্ঞানে দিশা দেখিয়েছিল। এবার মাইক্রো RNA আবিষ্কার মানবজাতির রোগ প্রতিরোধ ও রোগ নিরাময়ের ক্ষেত্রে অনেকটাই ত্বরান্বিত করবে।