ব্রাজিলে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা । কাসকেভেল থেকে সাও পাওলোতে যাওয়ার সময় ৫৮ জন যাত্রী নিয়ে ভেঙে পড়ে বিমানটি । সংবাদসংস্থা এএফপি সূত্রে খবর, ৫৮ জন যাত্রীরই মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া, দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন পাইলট-সহ চার জন বিমানকর্মী । সব মিলিয়ে ৬২ জনের মৃত্যু হয়েছে বিমান দুর্ঘটনায় । শোকপ্রকাশ করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিউ লুলা দা সিলভা।
বিমানটি ভেঙে পড়ার মুহূর্তের ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় । ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, মাঝ আকাশে একটি বিমান ঘুরতে ঘুরতে ক্রমশ নীচের দিকে নেমে আসছে । তার পর হঠাৎ বিকট শব্দ । বিমানটি আছড়ে পড়ে একটি জনবহুল এলাকায় । ভেঙে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে যায় । মুহূর্তের মধ্যেই কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় চারপাশ । ভয়াবহ সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে নেটমাধ্যমে । যদিও ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি এডিটরজি বাংলা ।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার ভিনহেডো শহরের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে । এটিআর-৭২ বিমানটি মোট ৫৮ জন যাত্রীকে নিয়ে সাও পাওলোয় গুয়ারুলহোসের দিকে যাচ্ছিল । সেইসময়ই ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটে । ইতিমধ্যেই ভেঙে পড়া বিমানটি উদ্ধারের কাজ শুরু করেছে উদ্ধারকারী দল । কী কারণ, দুর্ঘটনা, সেটাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে ।
ইতিহাসে সবথেকে ভয়ঙ্কর বিমান দুর্ঘটনা কী ছিল ?
গত কয়েক বছরে একাধিক বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে বিশ্বে । তবে ইতিহাসের পাতা ঘাটলে দেখা যাবে, সবথেকে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল প্রায় ৬০ বছর আগ, ১৯৭৭ সালে । দিনটা ছিল ২৭ মার্চ । স্পেনের তেনেরিফ বিমানবন্দরের রানওয়েতে ঘটেছিল দুর্ঘটনা । একই রানওয়েতে কেএলএম বিমান ও প্যান এম...এই দুটি বিমানের সংঘর্ষ হয় । সেদিন ওই ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন প্রায় ৫৮৩ জন । যার মধ্যে শিশু ছিল ৫৩ জন । কনট্রোল টাওয়ারের নির্দেশনা ঠিকভাবে বুঝতে না পারার জন্যই ঘটেছিল দুর্ঘটনা । যা ইতিহাসের সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা হিসেবে মনে করা হয় ।