করোনার সময়ে লকডাউনে চাকরির বাজারে এক ভয়ঙ্কর ছবি ফুটে উঠেছিল। এক লহমায় কাজ হারিয়েছিলেন বহু মানুষ। যে মানুষটা এলাহি জীবনযাপনে অভ্যস্ত ছিল, রাতারাতি তাঁর জীবনে নেমে এসেছে বেকারত্বের অন্ধকার। খুঁজতে হয়েছে বিকল্প পেশা। চাকরির বাজারে কি আবারও সেই ছাঁটাইয়ের কালো মেঘ জমতে শুরু করল? আবারও কি সেই অনিশ্চয়তা? বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের এক সাম্প্রতিক রিপোর্টে এমনই ভয়ঙ্কর এক ইঙ্গিত মিলেছে। রিপোর্টে ইঙ্গিত, আগামী অন্তত পাঁচ বছর ধরে ভারত সহ গোটা বিশ্বের চাকরির বাজারে এক চরম অনিশ্চয়তা তৈরি হতে পারে। ২০২৭ সালের মধ্যে বিশ্বজুড়ে কাজ হারাতে পারেন প্রায় ৮ কোটি ৩০ লাখ মানুষ।
সম্প্রতি বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম থেকে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। ফিউচার অব জবস শীর্ষক ওই রিপোর্টে বিশ্বব্যাপী চাকরির বাজার নিয়ে এমনই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ৮০০টিরও বেশি কর্পোরেট সংস্থার তুল্যমূল্য হিসেব করে এই পরিসংখ্যান তুলে ধরছে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম। যদিও নতুন চাকরির সুযোগ তৈরির কথাও বলা হয়েছে সেখানে। রিপোর্টের ইঙ্গিত, ২০২৭ সালের মধ্যে যেমন আট কোটিরও বেশি মানুষের চাকরি নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হতে পারে, তেমনই প্রায় সাত কোটি (৬ কোটি ৯০ লাখ) নতুন চাকরির সুযোগও তৈরি হতে পারে।
বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৭ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী প্রায় ১২.৩ শতাংশ কর্মীছাঁটাই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে নতুন চাকরি তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে ১০.২ শতাংশ। প্রভাব পড়তে পারে ভারতের চাকরি বাজারের উপরেও। রিপোর্টের পূর্বাভাস বলছে, এ দেশে আগামী পাঁচ বছরে চাকরি পাওয়া ও চাকরিহারাদের সংখ্যাটা হবে দেশের চাকরির বাজারের প্রায় ২২ শতাংশ।