কোটা সংস্কার আন্দোলনের উত্তাপ কমছেই না বাংলাদেশে। গ্রেফতার করা আন্দোলনকারীদের ছেড়ে দেওয়া, মামলা তুলে নেওয়া সহ প্রায় ৯ দফা দাবিতে আন্দোলন চালাচ্ছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র মঞ্চ। রবিবার থেকে তারা অসহযোগ আন্দোলন শুরু করেছে। আর তার জেরে পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করেছে।
ফরিদপুর, মুন্সীগঞ্জ, কুমিল্লা সহ একাধিক এলাকায় জড়ো হয়েছেন হাজার হাজার আন্দোলনকারী। অভিযোগ, সেখান থেকে সরকার বিরোধী স্লোগান উঠেছে। এমনকি শেখ হাসিনা সরকারের পরিবর্তন চেয়েছেন তাঁরা।
এদিকে রবিবার সকালেই ফরিদপুরের হাসিবুল হাসান লাবলু সড়কে অবস্থিত জেলা আওয়ামী লিগের কার্যালয়ে হামলা চালানো হয় বলেও অভিযোগ। তারপরেও সেখানে অবস্থানকারী আন্দোলনকারীরা অন্যত্র পালিয়ে যায় বলেই খবর। এদিকে শনিবার রাতে আন্দোলকারীদের উপর গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে একদল দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। ঘটনায় ২জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছিল। অন্যদিকে রবিবার সকাল থেকেই ঢাকা শহরের শাহবাগ মোড়ে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছেন বিক্ষোভকারীরা।
এই আন্দোলনকে থামাতে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ সরকারের তরফে। রবিবারই গণভবনে জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়াও তথ্য, আইন, অর্থ সহ মন্ত্রিসভার ২৭ জন সদস্য ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন। ইতিমধ্যে একাধিক এলাকার মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে বলেও খবর।