এখনও দগদগে করোনা ভাইরাসের স্মৃতি। চিনে সৃষ্টি হওয়া এই ভাইরাসের গোটা বিশ্বে কার্যত আতঙ্ক তৈরি করেছিল। বহুমানুষের স্বজনহারানোর বেদনা ভুলবার নয়। এর ঠিক বছর চারেকের মধ্যেই ফের নতুন আতঙ্কে চিন। নতুন ভাইরাস মাথাচাড়া দিয়েছে চিনে। নতুন এই ভাইরাসের নাম হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস বা এইচএমপিভি (HMVP)। এই ভাইরাস কি অচিরেই মহামারীর আকার ধারণ করবে? সেই প্রশ্নই এখন ঘুরছে বিশ্ববাসীর মনে, কেন না চিনের ভাইরাস নিয়ে পূর্বের স্মৃতি খুব একটা মধুর নয়।
চিনের একাধিক ভিডিয়ো ভাইরাল হচ্ছে। যা দেখে শিউরে উঠেছেন নেটবাসী। হাসপাতালগুলিতে ভিড় থিকথিক করছে, সকলের মুখ ঢাকা মাস্কে। আর এই দৃশ্য দেখেই সেই ভয়াবহ সময়ের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। যদিও ভিডিয়োগুলির সত্যতা যাচাই করেনি এডিটরজি বাংলা। কিন্তু পড়শি দেশের এই ভাইরাসকে নিয়ে ইতিমধ্যেই কপালে ভাঁজ পড়তে শুরু করেছে ভারতেরও।
কী এই ভাইরাস? এর উপসর্গই বা কী কী?
হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস প্রথম ডিটেক্ট করা হয় ২০২১ সালে। মার্কিন সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের তথ্য বলছে, এই ভাইরাসের উপসর্গের সঙ্গে কোভিড-১৯ এর মিল রয়েছে। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে জ্বর-সর্দি-গলা ব্যথার মতো উপসর্গ দেখা যায়। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে নিউমোনিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ফুসফুসের নিচে আক্রমণ করলে এই ভাইরাস আরও ভয়ঙ্কর হতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। শীতে এই সংক্রমণ হুহু করে বাড়ছে বলে জানা গিয়েছে।
কাদের ঝুঁকি বেশি? কী করণীয়?
এই ভাইরাসও সবার আগে সংক্রমণ ধরে শিশু এবং বৃদ্ধদের মধ্যে। সংক্রমণ ছড়াতে সময় লাগে ২ থেকে ৩ দিন। এই ভাইরাসও সংক্রমণ হয় একইভাবে। অর্থাৎ হাঁচি, কাশি, হ্যান্ডশেক থেকে এই ভাইরাস ছড়াতে পারে। তবে এই ভাইরাসের টিকা নেই। তাই আশঙ্কা বাড়ছে বিশ্বজুড়েই। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, এখনই প্যানিক করার মতো কিছু নেই। তবে জনবহুল স্থানে মাস্ক ব্যবহার, মুখ ঢেকে হাঁচি কাশি, বারংবার সাবান দিয়ে হাত ধোঁয়ার অভ্যেস ফিরিয়ে আনতে হবে।