এআই বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের জন্য কি আপনি চাকরি হারাতে পারেন? সেই সম্ভাবনা কিন্তু ক্রমশই বাড়ছে।
ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্ক গোল্ডম্যান স্যাকসের একটি গবেষণা বলছে, চ্যাটজিপিটির মতো জেনারেটিভ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সিস্টেম এমন সব কনটেন্ট তৈরি করতে পারে, যার সঙ্গে মানুষের লেখা বা তৈরি করা কনটেন্টের কোনও ফারাকই থাকবে না। ফলে সে সব কাজ করার জন্য কর্মীর দরকারও পড়বে না গুচ্ছের সংস্থার।
এবং এর ফলে বিশ্বের গ্রস ডোমেস্টিক প্রোডাক্ট এক দশকে ৭ শতাংশ বাড়তে পারে।
এর ফলে ইউরোপ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দুই তৃতীয়াংশ চাকরি খরচের খাতায় চলে যেতে পারে। জোসেফ ব্রিগস এবং দেভেশ কোডানির হিসাব সেই কথাই বলছে। ৪৬ শতাংশ প্রশাসনিক চাকরি এবং ৪৪ শতাংশ আইন-আদালতের সঙ্গে জড়িত চাকরি চলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে৷ এই সব কাজ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের মাধ্যমেই করা যাবে।
তবে বেশ কিছু সেক্টর এখনও এআই-এর পক্ষে কব্জা করা মুশকিল। আদালতের রায়দান বা অত্যন্ত অসুস্থ রোগীর চিকিৎসা এখনও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপর ভরসাযোগ্য নয়। নির্মাণশিল্পের মতো শ্রমসাধ্য সেক্টরও এখনও পর্যন্ত তার আওতার বাইরে।