যুদ্ধ যেন কিছুতেই থামছে না। রবিবারও লেবাননের বেইরুট এবং ইজরায়েলের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি চলেছে। এমনকি বেইরুটের দক্ষিণাঞ্চলে এয়ার স্ট্রাইক চালিয়েছে ইজরায়েল। ইজরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স বা IDF এর তরফেই সেই খবর জানানো হয়েছে।
ইজরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সের তরফে বলা হয়েছে, বেইরুটে হিজবুল্লা একটি অস্ত্রভাণ্ডার তৈরি করেছিল। রবিবার সেখানে হামলা চালানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, ওই অস্ত্রভাণ্ডারের কাছেই একটি হিজবুল্লা ঘাঁটি তৈরি করা হয়েছিল। এয়ার স্ট্রাইকের হামলায় সেই ঘাঁটি এবং হিজবুল্লার গোয়েন্দা সদর দফতর পুরোপুরি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে হামাসের গাজা স্ট্রিপেও হামলা চালানো হচ্ছে। অভিযোগ, ইজরায়েল তরফে ব্যাপক মিসাইল ও বোমা ছোড়া হয় রবিবার। আর সেই কারণে গাজা স্ট্রিপে একাধিক স্কুল এবং ধর্মীয়স্থান পুরোপুরিভাবে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। সেই ঘটনায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর।
হামলার দায় স্বীকার করেছে ইজরায়েল। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, হামাস জঙ্গিদের নিকেশ করতেই হামলা চালানো হয়েছিল।
পালটা হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লা। ইজরায়েলের তৃতীয় বৃহত্তম শহর হাইফা। সেখানে রয়েছে একটি বিমান ঘাঁটি। হিজবুল্লার তরফে দাবি করা হয়েছে, মিসাইল হামলায় পুরোপুরি ধ্বংস করা হয়েছে ওই বিমানঘাঁটি।
উল্লেখ্য, গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ইজরায়েলের উপর হামলা চালায়। গভীর রাতে প্রায় সাত হাজার মিসাইল একসঙ্গে ছোড়া হয়েছিল। অভিযোগ, সীমান্ত পেরিয়ে গিয়ে ইজরায়েলের প্রায় ১২০০ সাধারণ মানুষকে খুন করে হামাস। পনবন্দী করা হয় প্রায় ৫০০জনকে। অন্যদিকে পালটা জবাবে শুধু গাজা নয়, প্যালেস্তাইনের বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালাতে শুরু করে ইজরায়েল। বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা ও সরকারি সংস্থার দেওয়ার তথ্য অনুযায়ী ইজরায়েলের হানায় প্রায় ৪১ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
অন্যদিকে বিগত কয়েকমাস ধরে লেবাননের উপরেও চাপ বাড়িয়েছে ইজরায়েল। লেবাননের ২০০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গত সপ্তাহে উদ্ধার হয় হিজবুল্লা প্রধান হাসান নাসরাল্লার দেহ। লেবাননের রাজধানীর বেইরুটের দক্ষিণ দিকের একটি শহর থেকে উদ্ধার করা হয় তাঁর মৃতদেহ। সংবাদসংস্থা রয়টার্সের তরফে এই খবর জানানো হয়েছিল। যদিও হিজবুল্লার তরফে এবিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।
উল্লেখ্য নাসরাল্লার দেহ উদ্ধারের পর পরবর্তী প্রধান হিসেবে হাশেমকে বেছে নিতে চলেছে হেজবোল্লা। এই পরিস্থিতি ইজরায়েলকে হুঁশিয়ারি দিলেন খামেনেই। অন্যদিকে খামেনেইকে হত্যা করতে চায় তেল আভিভ। ইজরায়েলের সরকারি সংবাদমাধ্যমে এবিষয়ে জানিয়েছে সেই দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।
এরই মাঝে প্রকাশ্যে এসে ইজরায়েলকে চরম হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরানের শীর্ষ নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনেই। তেহরানের একটি ধর্মস্থানে বক্তব্য রাখেন তিনি। উপস্থিত ছিলেন প্রায় কয়েক হাজার মানুষ। সেখানে খামেনেই ঘোষণা করেন, হামাস ও হিজবুল্লার বিরুদ্ধে ইজরায়েল টিকতে পারবে না।