ক্রমাগত চাপ ও ক্ষোভ। বাংলাদেশ হাই কোর্টে ইসকনকে নিষিদ্ধ করার আর্জি খারিজ হয়ে গেল। সংখ্যালঘু নেতা চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারি নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে উত্তাল হয় দেশ। জায়গায় জায়গায় বিক্ষোভ চলে। তার মধ্যেই ইসকনকে নিষিদ্ধ করার আর্জি করে হাই কোর্টে মামলা দায়ের করে মহম্মদ ইউনূস সরকারের অ্যাটর্নি জেনারেল। বৃহস্পতিবার সেই মামলা খারিজ করে দেয় হাই কোর্ট।
বৃহস্পতিবার আদালতের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি ওঠে। ইসকনকে নিষিদ্ধ করার আর্জি করে বাংলাদেশ সরকারে অ্য়াটর্নি জেনারেলের দফতর। কিন্তু আদালতের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, স্বতঃপ্রণোদিতভাবে কোনও নির্দেশ দেবে না। ফলে ইসকনের বিরুদ্ধে করা মামলা আদালতে খারিজ হয়ে যায়। ইসকনের বর্তমান কার্যকলাপ নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার, তা নিয়েও আদালতকে জানাতে হবে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে।
সোমবার বিধানসভার বাংলাদেশের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, এই সময় তৃণমূল সরকারের নীতি, অন্য দেশের ব্যাপার হলে কেন্দ্রের সঙ্গেই থাকবে রাজ্য সরকার। যদি কোনও ধর্মের মানুষের উপর অত্যাচার হয়, তা হলে তার তীব্র নিন্দা করি। অন্য দেশে হলেও তা সমর্থন করে না এই রাজ্যের সরকার।
ইসকন কলকাতা শাখার ভাইস প্রেসিডেন্ট ও মুখপাত্র রাধারমন দাস বলেন, "আমাদের জন্য আনন্দের খবর। নিষিদ্ধ করার চেষ্টা হচ্ছে। লক্ষ লক্ষ ভক্তরা কোথায় যাবেন, তা নিয়ে চিন্তা ছিলষ। অনেক মন্দির আছে। সরকার যে নিষিদ্ধ করার চেষ্টা করছিল, হাই কোর্ট তা খারিজ করেছে।"