বাংলাদেশের কুর্সি থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগ। দেশ ছাড়লেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। তারপরেই ঢাকার ছবিটা যেন গত বছরের কলম্বোর মতোই হয়ে গেল। সেনাপ্রধানের শান্তির বার্তাকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে গণভবনের দখল নিলেন আন্দোলনকারীরা। বাংলাদেশের বুকে ভাঙা হল বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের মূর্তিও।
স্থানীয় সময় দুপুরের পর থেকেই প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের দখল নেন আন্দোলনকারীরা। যে ছবি এখন সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যার সতত্যা যাচাই করেনি এডিটরজি বাংলা। এরমধ্যেই দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসছে হিংসার খবর। বিশেষ করে আওয়ামী পন্থীদের উপর হামলার অভিযোগ করা হয়েছে। ধানমুন্ডিতে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে আওয়ামী লিগের দফতর। হামলা হয়েছে দেশের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাড়িতেও।
বাংলাদেশের প্রথম সারির দৈনিক প্রথম আলোর খবর, ঢাকায় বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি বাড়িতেও হামলা করার অভিযোগ উঠছে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে। সাময়িক বন্ধ করা হয়েছে ঢাকা বিমানবন্দর। এই পরিস্থিতিতে দেশের মানুষকে শান্ত থাকতে আবেদন করেছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল পার্টি। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগির জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই তাঁর সঙ্গে সেনা প্রধানের বৈঠক হয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে কড়া নজর রেখেছে দিল্লি। একযোগে নজর রেখেছে বেজিংও। কোন পথে যাবে ঢাকা, তা নিয়ে জল মাপছে এখন কূটনৈতিক মহল। ইস্তফার আগে জাতীর উদ্দেশ্যে ভাষণ দেওয়ার কথা ছিল শেখ হাসিনার। তা তিনি দিতে পারেননি। সূত্রের দাবি, ইতিমধ্যেই দিল্লিতে হাজির হয়েছেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী।