কর্মস্থলে প্রবল চাপ (Work-life balance) আর তার ফলে তৈরি হওয়া স্ট্রেসে (Stress in workplace) জেরবার হয়ে পড়েন এই দুনিয়ার কোটি কোটি মানুষ। অতিরিক্ত স্ট্রেসের (Work stress) ফলে আখেরে লাভের থেকে ক্ষতিই যে বেশি হয়, তা বুঝেই বেশ কিছুকাল ধরেই সপ্তাহে চারটে কর্মদিবসের (4-day work) নীতি প্রয়োগে সিলমোহর দেওয়ার ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা করছে বহু দেশ। এই তালিকায় সাম্প্রতিকতম সংযোজন- বেলজিয়াম (Belgium)।
আরও পড়ুন: তৃতীয় সপ্তাহে পড়ল অটোয়াতে ট্রাক চালকদের ধর্না, বিক্ষোভের রেশ কানাডা জুড়ে
একটি নতুন শ্রমিক আইনের কথা ঘোষণা করলেন বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী। যেখানে, ওই দেশের সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি কর্মচারিদের জন্য সপ্তাহে চারটে কাজের দিন (4-day work) এবং একটি লম্বা উইকএন্ডের (Long weekend) বরাদ্দের কথাও বলা হল।
এছাড়াও, আরও একটি ঘোষণা করা হয়েছে। যা নিয়ে আশাবাদী ওয়াকিবহালমহল। কর্মস্থলে (Workplace) কাজের নির্দিষ্ট সময়সীমা শেষ হয়ে যাওয়ার পরে কাজ সংক্রান্ত সমস্ত বিষয় থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখা যাবে। তখন ওই কর্মচারি যদি তাঁর কাজ-সংক্রান্ত যন্ত্রপাতি বন্ধ করে রাখেন এবং মেসেজের উত্তরও না দেন, তাহলে সেই কারণে তাঁর কাছ থেকে পরে জবাবদিহি চাওয়া যাবে না।
বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী (Belgium Prime Minister) জানান, অভিভাবকেরা যাতে তাঁদের সন্তানদের আরও বেশি করে সময় দিতে পারেন, তা এই নতুন আইনটি প্রণয়নের সময় মাথায় রাখা হয়েছিল। এর ফলে কারও বেতন হ্রাসও (No reduction in salary) হবে না।
তবে, সাপ্তাহিক কাজের সময় আগের মতোই ৩৮ ঘণ্টাই থাকছে। এবার, কর্মচারিদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তাঁরা ৪ দিনে ওই ৩৮ ঘণ্টা পূরণ করবেন নাকি আগেরমতো তা পূরণ করবেন ৫ দিনে।
২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে স্কটল্যান্ড (Scotland) পরীক্ষামূলকভাবে ওই দেশের অফিসগুলিতে এই নীতি চালু করেছিল। তার পরপরই আইসল্যান্ড (Iceland), স্পেন (Spain) এবং জাপানেও (Japan) পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয় এই পদ্ধতি।
২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে সরকারিভাবে কর্মস্থলে এই নীতি চালু করেছিল সংযুক্ত আরব আমিরশাহি (UAE)।