কোটার দাবি মিটে যাওয়ার পরেও উত্তপ্ত বাংলাদেশ। শনিবার রাত থেকেই নতুন করে উত্তাপ ছড়িয়েছে। রবিবারই শুধু মৃত্যু হয়েছে ৭০ জনের। তাঁদের মধ্যে ১৪ জন পুলিশ। দেশে অসহযোগ আন্দোলন শুরু হয়েছে। তাতেই মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। শাসকদল আওয়ামি লিগ ও পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ আন্দোলনকারীদের। পরিস্থিতি সামলাতে কার্ফু জারি করা হয়েছে। মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশের সংবাদপত্র 'প্রথম আলো' জানিয়েছে, বিভিন্ন জেলা থেকে মৃত্যুর সংখ্যা প্রতি মুহূর্তে বাড়ছে। পরিস্থিত সামলাতে বাংলাদেশ সরকার আগামী ৩ দিন ছুটি ঘোষণা করেছে। ভারত সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে থাকা ভারতীয়দের সতর্ক করা হয়েছে। বাংলাদেশে ভারতের সহকারী রাষ্ট্রদূতের বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, সিলেটে বসবাসকারী ছাত্রছাত্রী-সহ সব ভারতীয় নাগরিকদের সতর্ক থাকতে হবে। জরুরি পরিস্থিতিতে একটি ফোন নম্বরে যোগাযোগ করারও অনুরোধ করা হয়েছে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনে গ্রেফতার করা আন্দোলনকারীদের ছেড়ে দেওয়া, মামলা তুলে নেওয়া সহ প্রায় ৯ দফা দাবিতে আন্দোলন চালাচ্ছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র মঞ্চ। রবিবার থেকে তারা অসহযোগ আন্দোলন শুরু করেছে। আর তার জেরে পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করেছে।
ফরিদপুর, মুন্সীগঞ্জ, কুমিল্লা সহ একাধিক এলাকায় জড়ো হয়েছেন হাজার হাজার আন্দোলনকারী। অভিযোগ, সেখান থেকে সরকার বিরোধী স্লোগান উঠেছে। এমনকি শেখ হাসিনা সরকারের পরিবর্তন চেয়েছেন তাঁরা।