ক্রমশ গুরুত্বর হয়ে উঠছে চিনের করোনা পরিস্থিতি (Corona Situation)। (Sanghai) সাংহাইতে সোমবার নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৩,৩৫৪ জন। এই মুহূর্তে সেখানে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৭৩,০০০ ছাড়িয়েছে। গত মাস থেকেই নতুন করে করোনা ঢেউ আছড়ে পড়ে চিনের সবচেয়ে বড় শহর সাংহাই প্রদেশে।
আপাতত সেখানে লকডাউন (Lockdown) চলছে, আড়াই কোটির বেশি মানুষ ঘরে বন্দি। আক্রান্তদের অধিকাংশই ওমিক্রনের বিএ ২ ভ্যারিয়ান্ট (BA 2) দ্বারা আক্রান্ত। এই ভ্যারিয়ান্ট তুলনামূলক ভাবে অনেক বেশি সংক্রামক, কিন্তু ডেল্টার তুলনায় মারণক্ষমতা অনেক কম। সাংহাইতে সংক্রমণের সংখ্যা রোজ বাড়লেও কোনও মৃত্যু হয়নি।
চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যমের তরফে জানানো হয়েছে, মৃদু উপসর্গ থাকা অথবা উপসর্গ নেই, এমন আক্রান্তদের জন্য সাংহাই কনভেনশনে সেন্টারে সাময়িক হাসপাতালের (Temporary Hospital) ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যে চিন সরকারের তরফে সেখানে ১০,০০০ স্বাস্থ্যকরমীকে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে ২০০০ জন চিনের সামরিক বাহিনীর কর্মী। ঘরে ঘরে গিয়ে করোনা টেস্ট করছেন তাঁরা।
কর্মী পাঠানো হয়েছে জিয়াংসু, ঝেজিয়াং ও বেইজিং সাংহাইতে স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের পাঠানো হয়েছে। যেখানে জনসংখ্যা ১০ হাজারের থেকেও বেশি।
চিনের পশ্চিম অংশগুলিকে আগেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। নতুন নির্দেশিকাতে বলা হয়েছে, কোভিড প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে যতক্ষণ লাগবে ততক্ষণ সকলকে ঘরবন্দি থাকতে হবে। শহরের বেশিরভাগ অংশে গণপরিবহন স্থগিত করা হয়েছে। রেস্তোরাঁ ও শপিং মল বন্ধপ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, এদিকে ব্রিটেনেও করোনা রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। হাসপাতালে আক্রান্তের ভর্তির সংখ্যা বাড়ছে। বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। সেখানে কিন্তু ওমিক্রনের ভ্যারিয়্যান্ট BA.2 সংক্রমণের প্রধান স্ট্রেন হিসেবে প্রাদুর্ভাব ছড়াচ্ছে।