আশি বছর বয়সে ঠিক কীভাবে সময় কাটান আপনার পরিচিতরা? কেউ বাগান করেন, কেউ নাতি নাতনির সঙ্গে সময় কাটান, কেউ আবার ঘুরতে যেতে ভালবাসেন। একাশি বছরের চই সুন হোয়ার শখটা একটু অন্যরকম। আন্তর্জাতিক সৌন্দর্যের প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন তিনি। সেখানে তাঁর সহপ্রতিযোগীদের বয়স অর্ধেকের অর্ধেক। অধিকাংশের বয়স কুড়ির কোঠায়। এই বয়সে চই স্বপ্ন দেখলেন, এমন স্বপ্ন, সমাজের চোখে যা দেখার বয়স তাঁর নয়। তাতে কী আসে যায়!
কোন বয়সে কোন রং মানায়? কোথায় গেলে পোশাকের দৈর্ঘ্য কতটা হবে, কোথায় শাড়ি পরবেন, কোথায় শর্টস, সেসব বিচার করার জন্য ফ্যাশন পুলিশেরা সদা মুখিয়ে থাকেন। সৌন্দর্যের সংজ্ঞায় অলিখিত শর্তই থাকে বয়স। সে সবকে ফু দিয়ে উড়িয়ে দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার চই সুন হোয়া।
সন্তানদের মানুষ করে, পেশাগত জীবনের ব্যস্ততা সামলে জীবন যখন একটু আয়েস করার সময় দিল, সেই সুজোগ লুফে নিয়ে চই ডানা মেললেন স্বপ্নের। বিউটি পিজান্টে অংশ নেওয়ার কথা মাথায় আসল কবে, কীভাবে? বয়স তখন ৭২, হাসপাতালে কর্মরত চইকে এক রোগী প্রথম বলেন, তিনি সৌন্দর্যের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারেন।
আত্মবিশ্বাসে ভরপুর চই-এর বাধা ছিল একটাই। মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতার নিয়মে। এতদিন পর্যন্ত ২৮ বছর ছিল প্রতিযোগিতায় নাম লেখানোর বয়সের ঊর্ধ্বসীমা। সেই নিয়মও বাতিল হল। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতার নিয়মে বেশ কিছু ইতিবাচক বদল এসেছে। যেমন বিবাহিত মহিলারা, সিঙ্গল মাদার এবং রূপান্তরকামী মহিলারাও এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছেন।
চই সুন প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে বাছাই হননি, কিন্তু বেস্ট ড্রেসড এর মুকুট এসেছে তাঁর কাছে। ঠাকুমার এই অ্যাচিভমেন্টে সবচেয়ে খুশি কিন্তু চইয়ের দুই নাতি, যাদের বয়স ২৩ আর চব্বিশ। এমন 'কুল' ঠাকুমা আর কজনের হয়?