একদিকে প্রবল ঠান্ডা, অন্যদিকে ব্যাপক বৃষ্টি। এই দুয়ের জাঁতাকলে দফায় দফায় থমকে যাচ্ছে ভূমিকম্প বিধ্বস্ত তুরস্ক ও সিরিয়ায় উদ্ধারের কাজ। উদ্ধারকারীদের দাবি চাপা পড়া অংশ সরালে শুধু বেরিয়ে আসছে দেহ আর দেহ। আর যাঁরা জীবিত, নয় তাঁরা হাসপাতালে, না-হলে হারানো স্বজনের খোঁজে ব্যস্ত। আঙ্কারা থেকে আলেপ্পো শুধুই হাহাকার। বিশেষ করে তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্ত লাগোয়া অঞ্চলগুলি এই ভূমিকম্পের জেরে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ বলেই প্রশাসন সূত্রে দাবি করা হয়েছে। এরমধ্যেই লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। থামবে কোথায় সেই এখন প্রশ্ন।
প্রথমে ৭.৮, এরপর ৭.৫ আর শেষে ৬। রিখটার স্কেলের এই কম্পনে রবিবার মধ্যরাত থেকে সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ভেঙে তছনচ হয়ে যায় তুরস্ক ও সিরিয়ার একাংশ। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিটি ভূমিকম্পের পরেই আফটার শখ থাকে। এটা স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু আফটার শখ যে এতটা জোড়ালো হতে পারে, তা আগে কখনও ভাবা যায়নি। ইন্দোনেশিয়ায় সুনামির সময়ও এত ভয়ঙ্কর আফটার শখ হয়নি বলেও দাবি বিশেষজ্ঞদের।
উদ্ধারে হাত লাগাতে ইতিমধ্যে তুরস্ক এবং সিরিয়ায় পৌঁচ্ছে গিয়েছে আন্তর্জাতিক দল। এই দলের সঙ্গেই গিয়েছে ভারতীয় উদ্ধারকারী দলও। জল, ওষুধের পাশাপাশি দলে সঙ্গে গিয়েছে প্রশিক্ষণ পাওয়া স্নিফার ডগও।