অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। বুধবার বাংলাদেশ সময় সন্ধে ৬টার মধ্যে সব আবাসিককে বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতি নির্ধারণকারী ফোরামের বৈঠক হয় আজ। সেখানেই বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করার নির্দেশ জানানো হয়েছে।
কোটা সংস্কারের দাবিতে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল ঢাকায়। দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। শুধু ঢাকা বিশ্ববিশ্ববিদ্যালয় নয়, বাংলাদেশের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এনিয়ে আন্দোলন শুরু হয়েছে। শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়, পুরো ঢাকা শহরেই আন্দোলনের আঁচ ছড়িয়ে পড়ে। শুধু রাস্তা অবরোধ নয়, আগুন লাগিয়েও প্রতিবাদ জানান ছাত্র-ছাত্রীরা।
কোটা বিরোধী আন্দোলনে এখনও পর্যন্ত মোট ছ-জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা প্রায় চারশোর বেশি। আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঢাকা, চট্টোগ্রাম সহ একাধিক এলাকায় বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়েছে ঢাকায়। মূলত বিভিন্ন শ্রেণির জন্য মোট ৫৬ শতাংশ সংরক্ষণ রয়েছে। তা পরিবর্তনের দাবিতেই শুরু হয়েছে আন্দোলন।
এদিকে মৃত আন্দোলনকারীদের স্মরণে কফিন মিছিল বের করার ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার মধ্যরাতেই ওই নয়া কর্মসূচির ঘোষণা করা হয়েছিল। সেখানে বলা হয়েছিল, বুধবার বাংলাদেশ সময় দুপুর দুটো নাগাদ ওই মিছিল বের করা হবে। আন্দোলনকারী সকলকে ওই মিছিলে যোগ দেওয়ার আবেদন করা হয়েছিল।