ঢাকার মসনদে কি মহম্মদ ইউনুসের শেষের শুরু হয়ে গেল ? ওয়াশিংটন লালে-লাল হতেই এই প্রশ্ন এখন বাংলাদেশের প্রতিটি অলি-গলি এবং আমজনতার মধ্যে। ট্রাম্পের হাত ধরেই বাংলাদেশের মসনদে হাসিনার প্রত্যাবর্তনের স্বপ্ন দেখা শুরু করল আওয়ামি লিগ। এবার তৎপরতা জামাতকে কোণঠাসা করার।
এবারও প্রেসিডেন্টের মসনদে মহিলাকে প্রার্থীকে প্রত্যাখান করেছেন মার্কিনরা। তাতে খুশি হয়েছেন আর এক কন্যা। তিনি শেখ হাসিনা। গত অগাস্ট মাসে ঢাকা থেকে গদিচ্যুত হয়েছিলেন তিনি। অশান্ত বাংলাদেশে বাইডেনের হাত ধরে উপদেষ্টার ভূমিকা পালন করছেন মহম্মদন ইউনুস। যিনি ২০১৬ থেকেই ডেম্যোক্রাট-পন্থী।
কমলার হারে কী হল ? আর ট্রাম্পের জয়ে কী হতে পারে ? এই অঙ্ক এখন কষা শুরু করেছেন বাংলাদেশিরা। আন্তজার্তিক মহলের মতে, আমেরিকার ভোট নিয়ে বরাবর হাইপ থাকে। এবার মাত্রা ছিল একটু বেশি। কারণ, ট্রাম্প বনাম হ্যারিসের লড়াইয়ে এবার জড়িয়ে ছিল ইজরায়েল, ইরানের সঙ্গেই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ।
আমেরিকার ভোটকে বিশ্লেষণ করে কূটনৈতিক মহল দাবি করেছেন, উত্তাল বাংলাদেশে হিন্দুদের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁদের সামাজিক সুরক্ষা দেওয়ার বার্তা দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবারের ভোটে যা ওভার ট্রামের মতোই কাজ করেছে। কারণ, সাতটি সুইং স্টেটের মধ্যে ছটি গিয়েছে রিপাবলিক্যানদের দখলে। সৌজন্যে ভারতীয় হিন্দু ভোট। যা ঝুলি ভরিয়েছে ট্রাম্পের।
কমলার হারের সবচেয়ে বড় কারণ হিসাবে উঠে আসছে ডেম্যোক্রাটদের দিক থেকে কৃষ্ণাঙ্গদের মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার ঘটনা। বিল ক্লিনটন থেকে জো বাইডেন, এই দিন এই ভোটই ছিল তাঁদের মূলধন। বলা হচ্ছে কৃষ্ণাঙ্গদের অধিকার রক্ষার স্বার্থে হতাশ করেছেন হ্যারিস। আর এখানেই ট্রাম্পের বাজিমাত।
আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন শেখ হাসিনা। ট্রাম্পের সঙ্গে বেশ কয়েকবার বৈঠকে করেছেন তিনি। সেই স্মৃতিচারণা করেছেন শেখ হাসিনা। তাঁর আশা, দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্টের আসনে ডোনাল্ড ট্রাম্প বসার পর আমেরিকার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও মজবুত হবে। শেখ হাসিনার আশা করছেন, ফের একবার তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পাবেন। আওয়ামি লিগের এই পোস্টেই স্পষ্ট ট্রাম্পে আমেরিকা জয়ে তারা কতটা উজ্জ্বীবিত।
উল্টোদিকে শুভেচ্ছা বার্তায় মহম্মদ ইউনুস লিখেছেন, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ায় বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আন্তরিক অভিনন্দন। দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া এটাই বোঝায় যে ট্রাম্পের নেতৃত্ব ও লক্ষ্য আমেরিকার জনগণের মধ্যেও প্রতিফলিত হয়েছে। ট্রাম্পের নেতৃত্বে আমেরিকা উন্নতি করবে ও বিশ্ব জুড়ে অন্যদের অনুপ্রাণিত করবে।
কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা দাবি করেছেন, বার্তায় সৌজন্যতার প্রলেপ রয়েছে। তা ওয়াশিংটন কতটা গ্রহণ করবে, তা সময় বলবে। দিল্লিতে বন্ধু মোদীর সঙ্গে ঢাকায় হাসিনার হাতই শক্ত করতে চান ট্রাম্প। ফিরে পেতে চান বাংলাদেশের বাজারে আমেরিকার হারিয়ে যাওয়া বাজারকে। ভারতের সঙ্গেই দখল চান চট্টগ্রাম বন্দরের।