শাইখা মাহরা বিন্ত মহম্মদ বিন রশিদ আল মখতুম। একজনেরই নাম। কে তিনি? এতক্ষণে সারা বিশ্বের লক্ষ কোটি মানুষ জেনে গিয়েছেন, ইনি দুবাইয়ের রাজকুমারী। জেনে গিয়েছেন, মাত্র ১ দিন আগে ইন্সটাগ্রাম মারফত বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা করছেন শাইখা মাহরা।
গত বছর দুবাই রাজকুমারী বিয়ে করেছিলেন শেইখ মানা বিন মহম্মদ বিন রশিদ বিন মানা আল মাখতুমকে। মাস দুয়েক আগে তাঁদের কোল আলো করে এসেছিল ফুটফুটে এক মেয়ে। বুধবার রাজকুমারী নিজের ইন্সটা অ্যাকাউন্টে স্পষ্টই স্বামীর উদ্দেশে লেখেন, স্বামী তাঁর জীবনের নতুন সঙ্গীদের সঙ্গে ব্যস্ত থাকায় তিনি বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা করলেন, এবং পরমুহুর্ত থেকেই তিনি শেইখ মানা বিনের প্রাক্তন স্ত্রী।
রাজকুমারী এবং তাঁর স্বামীর বৈবাহিক জীবন যে খুব মসৃণ চলছে না আগেই আঁচ পাওয়া গিয়েছিল। দিন কয়েক আগেই মা-মেয়ের ছবি ইন্সটায় পোস্ট করে রাজকুমারী লেখেন, 'শুধু আমরা দুজন'। রাজকুমারীর স্বামীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জল্পনা বিগত কয়েকদিন ধরেই ছিল।
এত পর্যন্ত প্রায় সকলের জানা। ইন্সটা পোস্টে রাজকুমারী পরপর তিনবার স্বামীর উদ্দেশে লিখেছেন 'আমি ডিভোর্স দিলাম'। এই পর্যন্ত কম বেশি সকলেরই জানা ঘটনা। এবার, প্রশ্ন, 'ডিভোর্স দিলাম', তিনবার লিখলেই সেই ডিভোর্স গ্রাহ্য হবে?
তিন তালাক ভারতে নিষিদ্ধ হয়েছে, ২০১৯ সালে। ভারত-সহ ২৩ টি দেশে তিন তালাক অবৈধ। জেনে নেওয়া যাক দুবাই অর্থাৎ সংযুক্ত আমির শাহীতে কী নিয়ম? যিনি তালাক চাইছেন, তাঁকে অন্তত একজনকে সাক্ষী রেখে তিনটি আলাদা আলাদা প্রেক্ষিতে তালাকের কথা জানাতে হবে।
ধর্মীয় ভাবে সেই তালাক গ্রাহ্য হলেও দুবাইতে বিচ্ছেদের আইনি বৈধতার জন্য আদালতের স্বীকৃতি দরকার। প্রয়োজনে আদালত, সাক্ষীকেও ডেকে পাঠাতে পারে।
তাই এক্ষেত্রে রাজকুমারী নিজে ইন্সটায় তালাকের ঘোষণা করলেও সেই বিবাহবিচ্ছেদকে আইনি তকমা দিতে প্রয়োজন আদালতের স্বীকৃতি।