ভোররাতের পর এবার দুপুর। স্থানীয় সময় বেলা একটা কুড়ি মিনিটে ফের বিরাট ঝটকায় কেঁপে উঠল তুরস্কের একাংশ। মার্কিন আবহাওয়া দফতরের দাবি, রিখটার স্কেলে এই কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৫। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, এবার কম্পন অনুভূত হয়েছে তুরস্কের দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব অঞ্চলে। যার প্রভাব এবারও পড়েছে সিরিয়া এবং লেবাননের একাংশে। এই ঘটনার জেরে তিন দেশ কার্যত মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। এদিকে, তুরস্কের ভূমিকম্পের জেরে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরেই জরুরি বৈঠকে বসেছিল পিএমও। সিদ্ধান্ত হয়েছে দু দেশের উদ্ধারে গতি আনতে ভারত থেকে যাচ্ছে মেডিক্যাল টিম ও এনডিআরএফের বিশেষ উদ্ধারকারী দল।
এরআগে, ভূমিকম্প বিধ্বস্ত তুরস্ক ও সিরিয়ার পাশে থাকার কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সোমবার তিনি ঘোষণা করেন, দু দেশকেই সবরকম সাহায্য করবে দিল্লি। ঘটনায় শোকপ্রকাশ করে তিনি জানিয়েছেন, দু দেশের এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের খবরে দিল্লি শোকাহত। রাত গড়িয়ে সকাল হতেই দু দেশ এবং লেবাননের একাংশে লাফিয়ে বেড়েছে মৃতের সংখ্যা। সংবাদসংস্থা এপির খবর তুরস্ক এবং সিরিয়া সরকার এই ঘটনাকে প্রাকৃতিক বিপর্যয় বলে ঘোষণা করেছে। বিভিন্ন হাসপাতালের পাশাপাশি আহতদের চিকিৎসকা চলছে একাধিক এনজিও দফতরেও। কিছু বুঝে ওঠার আগে দুপুরে বিরাট কম্পনে ফের নড়ে গেল তুরস্ক।
মধ্যরাতে ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল তুরস্ক। কম্পনের উৎসস্থল ছিল দক্ষিণ তুরস্ক। সেখানকার নুরদাগি শহর থেকে প্রায় ২৬ কিলোমিটার পূর্বে অনুভূত হয় এই কম্পন। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল প্রায় ৭.৮। তার মিনিট দশেকের মধ্যেই আরও একটি কম্পন অনুভূত হয় বলেই খবর। প্রচুর ঘরবাড়ি ভেঙেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
কম্পনের তীব্রতায় মালাটিয়া-দিয়ারবাকির শহরে একাধিক বাড়ি ভেঙে গিয়েছে বলেই খবর। এছাড়াও শতাধিক বাড়িতে ফাটল ধরেছে বলে জানা গিয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে বহু মানুষের চাপা পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ভোর থেকেই উদ্ধারকাজে নেমেছে প্রশাসন(Turkey Govt.)।
পাশাপাশি, লেবানন-সিরিয়াতেও ভূমিকম্প(Syria Earthquake) অনুভূত হয়েছে বলেই খবর। সিরিয়ার আলেপ্পো এবং হামার বিভিন্ন অংশেও একাধিক বাড়ি ভেঙে পড়ার খবর মিলেছে।