প্রয়াত জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। ভারতীয় সময় শুক্রবার সকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। জাপানের নারা শহরে একটি প্রচারে ভাষণ দেওয়ার সময় তাঁকে লক্ষ করে গুলি করা হয়। এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় আততায়ীকে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। প্রাথমিক চিকিৎসায় জানা গিয়েছিল, গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন শিনজো। তখনই তাঁর হৃদযন্ত্র সাময়িক ভাবে বন্ধ হয়ে যায়। এই ঘটনার পরেও নারা হাসপাতালের চিকিৎসকরা জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে বাঁচিয়ে তোলার জন্য আপ্রাণ লড়াই করেছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। জাপানের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ দিন প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব সামলেছেন শিনজো। ২০১২ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত জাপানের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। শিনজোর মৃত্যুতে শোক বিশ্ব রাজনীতিতে। বন্ধু হারালেন, মন্তব্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। শিনজোর প্রয়াণে শনিবার ভারতে সরকারি শোক ঘোষণা করা হয়েছে।
জানা যায়, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর পিছন দিক থেকে শটগান দিয়ে গুলি ছোঁড়া হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও সামনে আসে, যেখানে দেখা গিয়েছে সম্পূর্ণ ঘটনাটি। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, কিছু লোকজন রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছেন। এরপরই ধোঁয়ায় ভরে যায় চারদিক। ততক্ষণে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন।
আরও পড়ুন : উত্তরাখণ্ডে নদীতে উল্টে গেল গাড়ি, ঘটনাস্থলেই মৃত্যু ৯ যাত্রীর
ঘটনাস্থলের ছবিতেও দেখা গিয়েছে, শিনজো আবে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছেন। রক্তে ভিজে গিয়েছে জামা। পুলিশ দ্রুত আততায়ীকে আটক করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, আততায়ীর নাম টেটসুয়া ইয়ামাগামি। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে নারা মেডিকেল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কী কারণে গুলি, তা এখনও জানতে পারেনি পুলিশ। সংসদ নির্বাচনের ভাষণ চলাকালীন হামলা হয় তাঁর ওপর। আগামী ১০ জুলাই জাপানে সংসদের উচ্চকক্ষের নির্বাচন। প্রাথমিক ভাবে জাপান পুলিশ জানিয়েছে, জাপানি নৌসেনার প্রাক্তন কর্মী ওই আততায়ী নিজের তৈরি বন্দুক থেকে গুলি চালিয়েছে। গ্রেফতারের পর ওই আততায়ী জানিয়েছে, সে শিনজোর কাজে অসন্তুষ্ঠ ছিল। তাই অনেক দিন ধরেই দেশের প্রধানমন্ত্রীকে খুনের ছক কষেছিল।