গত এক মাস ধরে চল ইসরায়েল এবং হামাসের যুদ্ধ সংক্রান্ত বিষয়ে সোমবারও কোনও প্রস্তাব গ্রহণ করতে পারল না রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। গাজায় নিহতের সংখ্যা ইতিমধ্যে ১০ হাজার ছাড়িয়েছে, এর মধ্যে ৪ হাজারের ওপর শিশু রয়েছে।
সোমবার দু'ঘণ্টার বেশি সময় ধরে ক্লোজড ডোর বৈঠক করে নিরাপত্তা পরিষদ। তাতেও ঐক্যমত গয়নি৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধে 'হিউম্যানিটেরিয়ান পজ' বা ইজরায়েলের লাগাতার আক্রমণে সাময়িক বিরতির কথা বললেও নিরাপত্তা পরিষদের অধিকাংশ সদস্যের দাবি 'হিউম্যানিটেরিয়ান সিজফায়ার' বা যুদ্ধবিরতি, যাতে অবরুদ্ধ গাজায় ত্রাণ পাঠানো যায় এবং সাধারণ মানুষের প্রাণহানি বন্ধ হয়।
বৈঠকের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি অ্যাম্বাসাডার রবার্ট উড বলেছেন, "আমরা 'হিউম্যানিটেরিয়ান পজ' শব্দটি ব্যবহারের পক্ষে। কিন্তু তা নিয়ে পরিষদে মতপার্থক্য রয়েছে।" এর আগে সোমবার রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছিলেন তিনি অবিলম্বে গাজায় সিজফায়ার বা যুদ্ধ বন্ধের পক্ষে। তিনি চান দখলকৃত ওয়েস্ট ব্যাঙ্ক, লেবানন, সিরিয়া থেকে শুরু করল ইরাক এবং ইয়েমেনে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা প্রশমিত হোক।
গুতেরেস বলেন, যে ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যানিটেরিয়ান ল-এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষের জীবন এবং তাঁদের সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় যাবতীয় পরিকাঠামো রক্ষা করা হয়, তা সম্পূর্ণরূপে অমান্য করা হচ্ছে৷ তিনি আরও বলেন, যুদ্ধে জড়িত কোনও পক্ষ এই আইনের উর্ধ্বে নয়৷ তিনি আরও বলেন, ৭ অক্টোবর হামাস যাঁদের পণবন্দি করেছিল, তাঁদের প্রত্যেককে মুক্তি দিতে হবে।
এই মাসে নিরাপত্তা পরিষদে সভাপতিত্বের দায়িত্বে থাকা চীন এবং আরব দেশগুলির প্রতিনিধি সৌদি আরব সোমবারের বৈঠক ডেকেছিল৷ তারা জানিয়েছিল গাজায় এক মাসেরও কম সময়ে ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, তৈরি হয়েছে মানবিক সংকট।
সংযুক্ত আরব আমিরশাহির অ্যাম্বাসাডার লানা নুসেইবে বলেছেন, নিরাপত্তা পরিষদের ১৫টি সদস্য রাষ্ট্রই আপ্রাণ চেষ্টা করছে প্রস্তাবের বিষয় মতপার্থক্য কমিয়ে আনার।