এবার ইজরায়েলের উপর পালটা চাপ দেওয়া শুরু করল হেজবুল্লা। তৈরি করা হচ্ছে বিশেষ গোপন বাহিনী। ইজরায়েল এবং আমেরিকার গুপ্তচর সংস্থা মোসাদ এবং CIA- এই সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্য ইতিমধ্যে তাদের হাতের এসেছে।
মোসাদ ও CIA জানতে পেরেছে, গাজা, বেইরুট এবং তেহেরানের আন্ডারগ্রাউন্ডে বিশেষ বাহিনী তৈরি করেছে হামাস, হেজবুল্লা এবং ইসলামিস্ট গ্রুপের একাংশ। এর আগেও ১৯৮০ সালে এই তিন সংগঠন গোপন বাহিনী তৈরি করে ঘায়েল করেছিল ইজরায়েলকে। সেই কারণে ফের ওই বাহিনী তৈরি করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
বিগত এক মাস ধরে হেজবুল্লার উপর লাগাতার হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল। বেইরুটে পরপর মিসাইল হানা চালানো হয়। এমনকি এয়ার স্ট্রাইকও করা হয়েছিল। যদিও ইজরায়েলকে পুরোপুরি ধ্বংস করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ইরানের শীর্ষ নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনেই। প্রায় পাঁচ বছর পর তিনি প্রকাশ্যে এসে এই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তিনি। আর তারপরেই গোপন বাহিনী তৈরির খবর প্রকাশ্যে এসেছে। এমনকি ওই বাহিনীর সঙ্গে গেরিলা সংগঠনের সঙ্গেও তুলনা করেছেন অনেকে।
সর্বশেষ ২০০৬ সালে আরবের একটি গেরিলা বাহিনী ইজরায়েলের উপর হামলা চালিয়েছিল। হেজবুল্লা, হামাস ইজরায়েলের কাছে পরিচিত সংগঠন হলেও গেরিলা বাহিনী বরাবরই চিন্তার কারণ ইজরায়েলের কাছে। কারণ এই সংগঠনগুলি গোপনে ইজরায়েলে প্রবেশ করে। শুধু তাই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ইহুদিদের খুঁজে বের করে। এবং তাঁদের টার্গেট করে। সুতরাং আবার গোপনে ইহুদি নিধন হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
২০২৩ সালের শেষ থেকেই লেবানন ও ইজরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাস থেকে আকাশপথে লেবাননের উপর হামলা চালাচ্ছে ইজরায়েলি সেনা। যদিও এর পালটা জবাব দিতে পিছপা হয়নি লেবানন।
উল্লেখ্য নাসরাল্লার দেহ উদ্ধারের পর পরবর্তী প্রধান হিসেবে হাশেমকে বেছে নেয় চলেছে হেজবোল্লা। তার নেতৃত্বেই আগামী দিনের পরিকল্পনা হবে বলে জানানো হয়েছে।